মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

জনপ্রিয় হচ্ছে ছাদ কৃষি

মোস্তফা কাজল

জনপ্রিয় হচ্ছে ছাদ কৃষি

দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ছাদ কৃষি। রাজধানী এবং আশ-পাশের এলাকায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি ছাদ কৃষিতে সাফল্য অর্জন করেছেন। আবার অনেকে সবজি এবং ফলের         আবাদ করে পরিবারের দৈনন্দিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষি অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েক হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাদ কৃষির সঙ্গে জড়িত। বিগত তিন চার বছর ধরে চলছে ছাদ কৃষির যাত্রা। এছাড়া দেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় প্রায় অর্ধশত বেকার যুবক ছাদ কৃষির সঙ্গে জড়িত হয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হেমায়েত হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,জনপ্রিয় হচ্ছে ছাদ কৃষি। প্রতিদিন কেউ না কেউ জানার চেষ্টা করছেন, কীভাবে করা যায় এ কাজ। ফলে সাধারণ মানুষ ছাদ কৃষিতে জড়িত হয়ে সবজি উৎপাদন ও টাটকা ফলফলাদি সহজেই হাতের নাগালে পাচ্ছেন।

ছাদেই সবুজ বাগান করেছেন রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বাসিন্দা আশরাফুল আলম। তিনি তার বহুতল আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার ছাদে অর্ধশত বাহারি গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিদিন দুবেলা নিজ হাতেই পরিচর্যা করেন। এ বাগান দেখলে মনে হবে গাছ, প্রকৃতি আর মানুষ যেন একই সূত্রে গাঁথা। তার এই বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি আরও তৈরি করেছেন সবজির আবাদ। জানতে চাইলে আশরাফুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষ ও ভেজালমুক্ত এবং শতভাগ নিরাপদ অরগানিক খাবারের  জোগান নিশ্চিত করতে এমন আয়োজন।  এ লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে শহরের বাড়ির ছাদ, বেলকনি, লন, এমন সব জায়গাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা যাবে ছাদ কৃষি। গাজীপুরের বাসিন্দা ইশরাত ইভা বলেন, ছাদ কৃষির মাধ্যমে আমরা সহজেই নিজেদের দোরগোড়ায় বিষমুক্ত, ভেজালবিহীন এবং অরগানিক খাদ্য পাচ্ছি। শুধু এ কারণে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা উচিত।

কৃষি বিভাগ জানায়, প্রাথমিকভাবে ছাদ কৃষির জন্য দরকার ভালো মাটি, জৈব সার, কীভাবে কি কি গাছ লাগানো যায়, সে বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান। যত্ন কীভাবে নেওয়া যায়, কোন সমস্যা কিভাবে সামলানো যাবে। এসব ব্যাপারে একটা ছোটখাটো প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ছাদ কৃষির আরেক ব্যক্তি নাজমুল আলম জানান, প্রকৃতি আমাকে সহযোগিতা করেছে। নিজের লাগানো শতাধিক গাছের কাছে যখন আসি, মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। এই গাছ, গাছের ফল আমার পরম যত্নে বেড়ে ওঠা সন্তানের মতো। আমি আর আমার পরিবার এই বিষমুক্ত, অরগানিক খাবার খেয়ে স্বস্তি পাই। আমি আমার বাড়ির ছাদে আনার, কামরাঙ্গা, পেয়ারা ও কলা গাছ লাগিয়েছি। ফলে আমার কোনো ফল বাজার থেকে কিনতে হয় না। ধামরাই এলাকার খোরশেদ আলম বলেন, আমি ছাদে ছয় জাতের শাক গাছ লাগিয়েছি। এক মাসের মধ্যে আমি লাউ গাছ থেকে শাক পেয়েছি। দেড় মাস পর পেয়েছি কচি লাউ। এ বছর বাজার থেকে লাউ কিনতে হয়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর