ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের চালা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচজন। এ ছাড়া চার গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটছে অনেক পরিবারের। গতকাল পর্যন্ত কোনো ত্রাণসহায়তা পৌঁছেনি তাদের কাছে। সদর উপজেলার কালাসুরা, দরিরাম শঙ্কর, দক্ষিণ চরপাতা ও ভেদুরিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে রবিবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে চার গ্রাম লণ্ডভণ্ড ও শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। ভেঙে ও উপড়ে পড়ে গাছপালা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। চরপাতা গ্রামে ঝড়ের সময় ঘরের টিনের চালা পড়ে মারা যায় রাজীব (১৩) নামে এক কিশোর। স্থানীয় সবুজ, বাচ্চু, মোর্শেদ, মঞ্জুর, বাশার জানান, ঝড়ে তাদের ঘর উড়ে গেছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। কোনো ত্রাণ পাননি। এ ছাড়া ঝড়ে নাছির মাঝি দাখিল মাদ্রাসা, মারকাজুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা, গুলি ব্র্যাক স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের ১০ কেজি করে চাল ও ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।