শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিনোদন কেন্দ্রে এখনো ঈদের আমেজ

প্রতিদিন ডেস্ক

বিনোদন কেন্দ্রে এখনো ঈদের আমেজ

ঈদ-পরবর্তী পঞ্চম দিনেও ঈদের আমেজ কাটেনি বিনোদন কেন্দ্রগুলোয়। রাজধানী ঢাকা, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ দেশের সবকটি স্পটে গতকালও ছিল মানুষের ঢল। বিশেষ করে ঈদের ছুটি শেষ হয়ে আসায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল এসব বিনোদন কেন্দ্রে ছিল নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোরের উপচে পড়া ভিড়। বিকালের দিক থেকে এ ভিড় জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানা, বিভিন্ন সিনেপ্লেক্স, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ অন্যান্য বিনোদন স্পট, রাঙামাটি, বান্দরবান, বিরিশিরি, সুন্দরবন, নিঝুম দ্বীপ, শ্রীমঙ্গল, কুয়াকাটায় বিপুলসংখ্যক বিনোদনমোদী ভিড় জমান। এ ছাড়া জেলাগুলো থেকেও প্রায় একই খবর পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ : এখনো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ময়মনসিংহের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয়। ঈদের চার দিন পেরিয়ে গেলেও নগরীর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে উৎসবের কোনো কমতি ছিল না গতকালও। সারা বছরের ব্যস্ততা ছুড়ে ফেলে ঈদের ছুটিতে শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও ভিড় করেছেন এখানে। সরেজমিন দেখা গেছে রৌদ্রস্নাত বিকালে পর্যটকের পদচারণে মুখর জয়নুল উদ্যান। কেউ হাঁটছিলেন কেউবা নৌকা নিয়ে ঘুরছিলেন। আর শিশুরা ভিড় করছিল মিনি চিড়িয়াখানায় অথবা স্পেশাল কোনো রাইডে। আবার ঈদে লম্বা ছুটিতে অনেকেই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সবুজ ঘাসে জমান জম্পেশ আড্ডা। সেখানে বেজেছে গিটার, সুর ও গান। প্যারাডাইস পার্ক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও বৈশাখী চত্বরেও ছিল মানুষের ঢল। আবার অনেকের বিনোদনের মূল খোরাক ছিল সিনেমা হলগুলো। শ্রীপুর (গাজীপুর) : শ্রীপুরে এবার উদ্যান ছাড়িয়ে বিনোদন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সেতুতে। নদী ও তার আশপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে নতুন দুটি সেতু এবার বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ত্রিমোহনী এলাকায় সুতিয়া নদীর ওপর ত্রিমোহনী সেতু এবং বরামা-সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত সেতু এবার ঈদের বিনোদনের অন্যতম উপলক্ষ। গফরগাঁও উপজেলার সুতারচাপর গ্রামের অধিবাসী অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হাদিউল ইসলাম বলেন, এখন সেতুতে পড়ন্ত বিকালে দর্শনার্থীর ভিড় জমে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের দিন থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থী ভিড় করছেন। গতকাল ছুটির দিনেও দূরদূরান্তর থেকে দর্শনার্থীরা এসেছেন। গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ইবরাহিম হাসান বলেন, বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেতুর ওপর দর্শনার্থীরা অবস্থান করেন। দূরদূরান্তর থেকে নানা বাহনযোগে তারা আসেন। সেতুটি গাজীপুরের শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নদীবেষ্টিত এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ময়মনসিংহরে হালুয়াঘাট উপজেলার কুড়িয়াবাসা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে বাচ্চু মিয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ত্রিমোহনী সেতুর কথা শুনেছেন এবং দেখেছেন। তিন নদীর মোহনায় একটি সেতু নান্দনিক দৃশ্যের অবতারণা করবে। এ ধারণা থেকেই সেতুটি দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, গ্রামের মধ্যে তিন নদীর মোহনায় এমন একটি সেতু বিনোদনপিয়াসীদের আন্দোলিত করে। ত্রিমোহনী সেতু এলাকায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে স্থানীয়দের মুখ থেকে।

সেতুটি নতুন হওয়ায় দুই পারের বাসিন্দাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের প্রভাব দেখা গেছে। ত্রিমোহনী সেতুতে স্থায়ী একটি পুলিশ চেক-পোস্ট না থাকলে ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈদের আগের রাতে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা নিগুয়ারী এলাকার সাদেক হোসেন (৩৫) ছুরিকাঘাতে আহত হন। সেতুর ওপর যানবাহনের স্ট্যান্ড করায় সাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিরও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর