শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সবজি ও মাছের দাম চড়া, কমেছে ভোজ্যতেল ও ছোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সবজি ও মাছের দাম চড়া, কমেছে ভোজ্যতেল ও ছোলা

বাজার দর

টানা বর্ষণে মৌসুমি ফলনের ক্ষতি এবং ঈদে সরবরাহ কম থাকায় সব রকম সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে চাল ও মাছের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডাল, বেগুন ও কাঁচামরিচের। মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। পাশাপাশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। গতকাল ক্রেতাদের ভিড়ে বাজার জমজমাট থাকলেও কেনাকাটায় স্বস্তি মেলেনি। রাজধানীর কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও আড়তদারদের চড়া দামে বিক্রির কারণে দাম কমেনি। ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের ছুটি উপলক্ষে এমন অবস্থা সৃষ্টি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার দাম কমেছে। বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ঈদ ও গত সপ্তাহের টানা বর্ষণের কারণে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মিরপুর ১নং সেকশনের কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের চড়া দামে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা, পুদিনা পাতা ৩০০-৩৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। গাজর ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, পটল ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা নাঈম জানান, গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে কেজি ৭০ টাকায়, যা গত কয়েক দিন আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা।

 ফাতেমা আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, রমজান মাসের শেষে বেগুন, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন শাক-সবজির দাম নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু কয়েক দিনে সব রকম শাক-সবজির দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, মিরপুর বাজারে দাম বেড়েছে সব রকম মাছের। প্রতি কেজিতে ৫০  থেকে ১০০ টাকা করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ বিক্রেতা মো. জামশেদ বলেন, সামুদ্রিকসহ সব রকমের মাছের দাম বেড়েছে। গতকাল ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে কেজি ১১০০ টাকা, লাল কোরাল মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, রূপচাঁদা মাছ (বড়) ৮০০ টাকা ও ছোট ৭০০ টাকা, কালো রূপচাঁদা ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫০০ টাকা, লইট্টা মাছ ১৮০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বাটা মাছ ৪০০ টাকা, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, আইড় ৫০০ টাকা, বোয়াল ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া বড় ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ টাকা, লেয়ার ১৮০ টাকা, সোনালি প্রতিটি ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া গরুর মাংস ৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া ডিমের দাম হালিতে ৩ টাকা বেড়ে ৩২ টাকা। বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৯৫ থেকে ৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন ৮০-৮২ টাকা, পাম ৭৬-৭৮ টাকা, চিনি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, পিয়াজ দেশি ২৫ টাকা, ভারতীয় ২৪ টাকা, খেজুর ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, বেসন ৬০ টাকা, আদা দেশি ২০০ টাকা ও চীনা আদা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর