বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
সিলেটে কুপিয়ে আহত

পুলিশের হাতে ভিডিও শিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী আবুল কালাম আসিফের বড় ভাই আবুল কালাম আফাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে  শিবিরের সাত নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে হামলার ঘটনায় আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মামলার আসামিরা হলেন নগরীর সবুজবাগ এলাকার আক্কাছ আলী, উপশহরের এবাদুর রহমান, সোনারপাড়ার আবদুল ফাত্তাহ, উপশহরের আকিব, সাকিব, তাহমিদ ও জাবেদ।

গতকাল রাতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা জানান, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এদিকে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা। তিনি বলেন, ‘ফুটেজে আমরা কী পেয়েছি তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করতে চাইছি না।’ হামলায় গুরুতর আহত শাহিন আহমদের ঢাকায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। সোমবার ঘটনার পর ওই দিন রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মান। দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় গতকাল বিকালে নগরীতে মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রুম্মান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম তুষারের নেতৃত্বে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আম্বরখানা থেকে মিছিল বের হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলার শিকার হওয়ার পর সোবহানীঘাটের জালালাবাদ কলেজ ও পাশের শিশু হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় কতিপয় যুবক। এ ঘটনায় গতকাল থেকে তিন দিনের জন্য জালালাবাদ কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাকী চৌধুরী। সোমবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর সোবহানীঘাটে জালালাবাদ কলেজের সামনে মদনমোহন কলেজের ছাত্র শাহিন আহমদ (২২) ও জালালাবাদ কলেজের ছাত্র আবুল কালাম আসিফকে (১৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শিবির ক্যাডাররা। তারা দুজনই ছাত্রলীগের কর্মী। শাহিন সিলেট সদর উপজেলার পীরপুর টুকের বাজারের নূরুল আমিনের ছেলে এবং আসিফ উপশহরের জালাল উদ্দিনের ছেলে। সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে শাহিনের ডান হাত শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ছাড়া তার বাঁ হাতের একাধিক স্থান ও দুই পায়ে কোপানো হয়। গুরুতর অবস্থায় শাহিনকে সোমবার বিকালেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আসিফকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎস দেওয়া হচ্ছে। শিবির ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে ছাত্রলীগ। তবে হামলার দায় অস্বীকার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে ছাত্রশিবির।

সর্বশেষ খবর