নরসিংদীর রায়পুরায় একটি ফিলিং স্টেশনে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ছয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও একজন। গতকাল বিকালে নরসিংদী ও ভৈরবের সীমান্তবর্তী এলাকা রায়পুরা উপজেলার গকুলনগরে অবস্থিত লাল মিয়া ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার উবায়দুল্লাহ মিয়ার ছেলে বরকত হোসেন (১৮), একই এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে আবুল ফজল (৩০), ভৈরবের মধ্যপাড়া কমলপুর গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে আওয়াল মিয়া (২০), একই এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে কাউসার মিয়া (৩০), রায়পুরার রামনগরের শাজাহান মিয়ার ছেলে জাকারিয়া (২৫) ও হাকিম মিয়া (৫০)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ১০ জনের একটি শ্রমিক দল গকুলনগরের লাল মিয়া ফিলিং স্টেশনে সাবাতুম মোটরস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি সার্ভিসিং স্থানান্তরের কাজ করছিল। বর্তমানে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে ভারী যন্ত্রপাতি ও লম্বা ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিকাল ৪টার দিকে ছয়জন শ্রমিক একটি চার চাকার লোহার উঁচু ট্রলি একপাশ থেকে অন্যপাশে নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লীবিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে ট্রলিটি লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ শ্রমিকের শরীর ঝলসে গেলে তারা মারা যান। এ সময় আহত হন আবুল ফজল নামের এক শ্রমিক। তাকে ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মূলত অসতর্কতার কারণেই এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অবহেলা ও অসতর্কতার অভিযোগে গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার সাবাতুম মোটরসের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
