শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

২০ মিনিটে গাড়ির ফিটনেস

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ঢাকার রাস্তায় হাজারো ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করছে প্রতিদিন। আর যদি কেউ গাড়ির ফিটনেস যাচাই করতে আগ্রহ দেখায় তাহলে গাড়ির দীর্ঘ লাইনই তাকে নিরুৎসাহিত করতে যথেষ্ট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে গাড়ির ফিটনেস টেস্ট করাতে গলদঘর্ম অবস্থায় পড়তে হয় প্রাইভেট কার এবং গণপরিবহনের মালিক শ্রমিককে। তাই এই ঝক্কি-ঝামেলাকে সরিয়ে গাড়ির ফিটনেসে ডিজিটালাইজড পদ্ধতির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৭০০-৮০০ গাড়ি বিআরটিএ তে আসে ফিটনেস টেস্ট করাতে। এগুলোকে লেনে নিয়ে টেস্টিং করে সার্টিফিকেট দিতে অনেক সময় লেগে যায়। আগের মতো ফিটনেস টেস্টিং পদ্ধতি বাদ দিয়ে অটোমেটেড ভি আই সি মেশিনের মাধ্যমে ফিটনেস টেস্টিং শুরু করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি কোইকার অর্থায়নে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এ মাত্র দুই লেনে মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন মাত্র ৫০-৬০ টি পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, মিনিবাসসহ ভারী যানবাহনের ফিটনেস টেস্ট করা হচ্ছে। তবে এই গ্রাহক সেবা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। প্রাইভেট কার এবং অন্যান্য যানবাহনে এখনো সেই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই ফিটনেস টেস্টিং করা হয়। ফিটনেসের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও গ্রাহকরা অকারণে বিআরটিএ-তে ভিড় জমায়। আর এই অব্যবস্থাপনার সুযোগে দালাল চক্র দ্রুত সনদপত্র দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় অর্থ। তাই কাজে গতি নিয়ে আসতে অ্যাপসের সাহায্যে পুরো প্রক্রিয়াটিকে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে চাইছে বিআরটিএ। এই প্রকল্পের পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে। প্রকল্পের ব্যাপারে বিআরটিএ’র পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশ শেখর বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফিটনেস কার্যক্রমকে আরও দ্রুত করতে অ্যাপসের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিআরটিএ’র তত্ত্বাবধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গাড়ির ফিটনেস টেস্ট করার জন্য মালিকদের মোবাইলে সময় এবং লেন নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেবে। ওই প্রতিষ্ঠানের লেনে বিআরটিএ’র পরিদর্শকরা গাড়ি টেস্ট করে ফলাফল জানালে অ্যাপসের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে সার্টিফিকেটের প্রিন্ট কপি। আর গাড়ি প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে। এই প্রকল্পের প্রথম পরিকল্পনা নিয়ে আসে টপ আই আই (টপ আইডিয়া অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্ট) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুল আলম সবুজ বলেন, গাড়ির ফিটনেস কাজে গতি নিয়ে আসতে আমরা একটি অ্যাপস ডেভেলপ করি। পরবর্তী দুই বছর এর কার্যকারিতা যাচাই করে বিআরটিএ’কে জানাই। পরবর্তীতে বিআরটিএ এই পরিকল্পনাটিকে বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টা করছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর