বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী নাছিমা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী নাছিমা

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা। এতে পরিবারে আসছে আর্থিক সচ্ছলতা। এদিকে জৈব কেঁচো সার ব্যবহারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনও বাড়ছে।

এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার পাইকপাড়া, সিঁধুচী, মনোহরপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছে অর্ধশতাধিক নারী। এতে পরিবারে আসছে আর্থিক সচ্ছলতা। ঘরের কাজের পাশাপাশি স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। তাদের একজন পাইকপাড়া গ্রামের মো. মোখলেছের স্ত্রী নাছিমা বেগম। তিনি জানান, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নামের একটি এনজিও তাদের কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে তিনি সার তৈরি করেন। প্রতি কেজি সার বিক্রি করেন ১০-১৫ টাকা করে। মাসে তার পাঁচ হাজার টাকার ওপরে আয় হয়। তিনি বলেন, কেঁচো নিয়ে কাজ করায় প্রথমে অনেকে কটূক্তি করতেন। কিন্তু আয় দেখে তিনি পিছু হটেননি। তার স্বামীও কেঁচো নিয়ে কাজ করার বিষয়টি পছন্দ করেননি। তার দেখাদেখি অনেকে এখন কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। কেঁচো সার উৎপাদনের আয় দিয়ে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ভালো আছেন। নাছিমার স্বামী মো. মোখলেছ জানান, প্রথমে বিষয়টি তার ভালো লাগেনি। পরে দেখলেন এতে ভালো আয় হয়। তিনি নিজেও সার উৎপাদনে এখন স্ত্রীকে সহায়তা করেন। তিনি জমিতে এ সার ব্যবহার করে ভালো ফসল পেয়েছেন বলেও জানান। এ সার উৎপাদনে ভালো লাভ হয় বলে জানান একই গ্রামের আরেকজন সার উৎপাদনকারী আলী হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন জানান, কেঁচো সার উৎপাদন করে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আসছে। এছাড়া জৈব কেঁচো সার ব্যবহারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনও বাড়ছে। বিভিন্ন এনজিও’র সহযোগিতার পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও নারীদের প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর