কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে কলেজের এক ছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে পাঁচ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেমের সম্পর্ক পাতিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকালে রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই শিক্ষার্থীর চাচা রাজীবপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে। থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কাচারিপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলী জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার এক কলেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই দেখা করার কথা বলে খোরশেদ মঙ্গলবার মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আনে। এরপর তার বন্ধু একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের বাড়ির একটি কক্ষে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে খোরশেদ ও তার চার বন্ধু মিলে ওই শিক্ষার্থীর মুখে কাপড় বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়েন এবং তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। খোরশেদ আলীর দুই বন্ধু আল আমিন ও আরিফুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা বিপাশা রায় জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তার ওপর যে একাধিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা নিশ্চিত। কমপক্ষে ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুরে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় গতকাল ওই শিক্ষার্থীর চাচা থানায় মামলা করেছেন। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আল আমিন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
