মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
দুর্ধর্ষ আসামি উধাও

আদালতে হাজির হয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ক্ষমা প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেল থেকে দুর্ধর্ষ এক আসামি উধাও হওয়ার ঘটনায় আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। গতকাল  ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার এ আবেদন করেন তিনি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত  বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর  ‘জেল থেকে দুর্ধর্ষ আসামি উধাও’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হয়। আবেদনে বলা হয়, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪, ঢাকার স্মারক নং-৪৩০ তারিখ ৩০ আগস্ট মূলে আসামি মিজানুর রহমান মাতুব্বরের জামিন সংক্রান্ত ছাড়পত্র আদালতের পত্র বাহক তৈয়ব-এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ কারণে আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, আদালত থেকে ওই আসামির জামিন হয়নি। এরপর আসামি মিজানুর রহমান মাতুব্বরের মুক্তির বিষয়ে সন্দেহের পাশাপাশি জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ আসামিকে পুনরায় গ্রেফতার করলে প্রকৃত ঘটনা স্পষ্ট হওয়া সম্ভব। এ জন্য আদালতের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থী।’ এ বিষয়ে ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফোরকান মিয়া বলেন, আসামি মিজানুর রহমান মাতুব্বরকে আদালত থেকে বিচারক জামিন দেননি। এমনকি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর কোনো পত্র বাহক আসামি মিজানুরের মুক্তির বিষয়ে কোনো ছাড়পত্র কারাগারে নিয়ে যাননি। কারা কর্তৃপক্ষ কোনো জামিনের ছাড়পত্র পেলে তাদের যাচাই করা উচিত। কিন্তু তারা তা করেননি। মামলা সূত্রে  জানা গেছে, ২০১৫ সালে আট বছর বয়সী শিশু গাড়িতে করে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে বনানী উড়ালসড়কের নিচে অপহরণকারীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। নিজেদের একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে দিনের বেলায় শিশুটি এবং ওই গাড়ির চালক ও শিশুটির তত্ত্বাবধানকারীকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। পরে শিশুটির বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তার সন্তানকে ফেরত পান চার দিন পর। এ ঘটনায় শিশুটির মামা এনায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। পরে মুক্তিপণের ওই টাকাসহ প্রধান আসামি মিজানুর রহমান মাতুব্বরকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর