মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাজাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস করেন, পুলিশ খুঁজে পায় না

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রতারণা মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ নিয়মিত অফিস করলেও তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। গতকাল মেহেরপুর পৌরসভা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ অফিস করছেন। তিনি কাজের চাপের অজুহাতে কোনো কথা বলতে চাননি। সিআর ২১৫ নম্বর একটি প্রতারণা মামলায় গত ৩০ জুলাই মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান তাকে দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে একটি মহলের চাপে ফিরে আসে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ প্রসঙ্গে দুপুরে মেহেরপুর থানার ওসি রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। কিন্তু পরে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। মেহেরপুর পৌরসভার সচিব তৌফিকুল আলম বলেন, তার সাজার বিষয়টি মেহেরপুরের সবাই যেমন জানে তেমনি আমিও জানি। কিন্তু মেহেরপুর থানা বা কোর্ট থেকে কোনো চিঠি না পাওয়ায় আমরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। মামলার বাদী মেহেরপুর সদর উপজেলার ঠিকাদার হাফিজুর রহমান ডলার পিতা মৃত হারুন অর রশিদ, ঘোষপাড়া মেহেরপুর আরজিতে বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট মেহেরপুর পৌরসভার প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বাদীকে পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে অঙ্গীকার করেন এবং কাজ না পেলে টাকা ফেরতের কথা বলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে নগদ ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা নেন। ফেরতের টাকার চেক বার বার ব্যাংকে জমা দিয়ে হিসাবে টাকা না থাকায় তা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আসামিকে জানালে বিভিন্ন অজুহাতে আজ-কাল করে হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তোমার টাকা ফেরত দিতে পারব না বলে সাফ জানিয়ে দেন।’

 

সর্বশেষ খবর