শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ময়মনসিংহে কিশোর পিটিয়ে হত্যা

হ্যাচারিটি ছিল দুষ্কর্মের আখড়া

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

গাউছিয়া একটি মত্স্য হ্যাচারি হলেও দুষ্কর্মের আখড়া এবং বিকৃত রুচির প্রতিষ্ঠান ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বুধবার আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই হ্যাচারিতে বাউন্ডারি ওয়াল নেই, পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। রয়েছে বিশাল এক কাশবন। যেখানে শিয়াল, সাপ বসবাস করে। আর যে কোনো অপরাধ এখানে সংঘটিত করা সম্ভব। সেখানেই কিশোর সাগরের লাশ পাওয়া গেছে।

আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা চিরুনি অভিযান চালাচ্ছি। আসা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আক্কাছসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পারব। ইতিমধ্যে আমরা সব ধরনের বন্দরে রেড এলার্ট জারি করেছি। উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা জান্নাত এ হুর জানিয়েছেন, ওই হ্যাচারিটিকে লাইসেন্স নবায়ন না করার অভিযোগে গত কয়েকমাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও সরকারি কোনো নিয়মনীতিরও তোয়াক্কা করতেন না তিনি। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের শ্রী রামপুর এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যেখানে কিশোর সাগরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়  সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। হ্যাচারিতে নেই কোনো কর্মচারী। পাশেই আক্কাছের ভাইয়ের বাড়ি হলেও সেটি তালাবদ্ধ। তার বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি কারও। ঘরের দরজা-জানালাগুলোও খোলা।

 স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার দিনই সকাল ১০টার দিকে সপরিবারে পালিয়ে যায় আক্কাছ ও তার পরিবার। এদিকে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রিয়াজুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে বুধবার ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে সে। নিজের কথাও স্বীকার করেছে সে। প্রধান আসামি আক্কাছ এবং তার সহযোগী কাইয়ুমসহ আরও কয়েকজনের নামও সে জবানবন্দীতে উল্লেখ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে বুধবার রাতে ফজলুর রহমান (৫০) নামের একজনকে গৌরীপুরের শ্রী রামপুর থেকে আটক করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার আটক ওই ব্যক্তি আদালতে জবানবন্দী দেয়। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নিহত সাগরের পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে একমণ চাল, ২০ কেজি আটা, ১০ লিটার করে তেল ও ডাল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর