শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ধর্ষণের অভিযোগে আরও এক গুরু গ্রেফতার ভারতে

প্রতিদিন ডেস্ক

ধর্ষণের অভিযোগে আরও এক গুরু গ্রেফতার ভারতে

ভারতে একের পর এক ফেঁসে যাচ্ছেন তথাকথিত ‘ধর্মগুরু’ বা বাবারা।

মাসখানেক আগে কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর একই অভিযোগে ধরা পড়েন উত্তর প্রদেশের গোবিন্দ মোহন্ত। তার বিচার চলাকালেই এবার একই অভিযোগ উঠল আরও এক ‘স্বঘোষিত বাবার’ বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের কথিত ওই ধর্মগুরু বাবা সিয়ারাম দাস। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ২১ বছর বয়সী এক তরুণী সিয়ারামের (৬০) বিরুদ্ধে তাকে আট মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। ওই তরুণী স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিয়ারাম আশ্রম, স্কুল, ডিগ্রি কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ ছাড়া লক্ষেৗ, বারবাঁকি, আগ্রা ও হাতরাস জেলায় তার অনেক সম্পত্তি রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর অভিযোগ, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় সিয়ারামের অনুসারী রিন্টু সিংয়ের কাছে তাকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। রিন্টু মিশরিখ এলাকায় সিয়ারামের শ্রীচন্দ্র ভগবান কলেজের ব্যবস্থাপক। গত বছর রিন্টু ওই তরুণীকে সিয়ারামের কাছে নিয়ে যান। পরে সিয়ারাম তাকে আটকে রাখেন। তরুণী বলেন, তার ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। প্রায় আট মাস আটকে রেখে বাবা সিয়ারাম তাকে ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়া আশ্রমে আটকে থাকা অবস্থায় অপরিচিত অনেকেই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনোমতে ওই তরুণী সম্প্রতি সিয়ারামের আশ্রম থেকে পালাতে সক্ষম হন। সোমবার রাতে তিনি পুলিশকে টেলিফোনে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। অভিযান চালিয়ে আগ্রা থেকে সিয়ারামকে গ্রেফতার করা হয়। মিশরিখ থানার কর্মকর্তা অশোক কুমার সিং বলেন, সিয়ারাম আগ্রায় জমিজমাসংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীতাপুরে সিয়ারামের দখলে থাকা সম্পদের হিসাব নিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, সিয়ারামের কলেজে তার একটি শোয়ার ঘর রয়েছে। সেখান থেকে কিছু কাপড় জব্দ করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রিন্টু ও ওই তরুণীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে দেশটিতে এমন কর্মকাণ্ড শুধু রাম রহিম ও সিয়ারামরাই ঘটাননি, তাদের আগেও অনেক ‘ধর্মগুরু’ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অনেকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। কথিত এসব ধর্মগুরুর মধ্যে আছেন উড়িষ্যার সন্তোষ রাউল ওরফে সারথি বাবা, মধ্যপ্রদেশের লাল বুলচান্দনি ওরফে লাল সাঁই, বেঙ্গালুরুর স্বামী নিত্যানন্দ, কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের স্বামী গঙ্গেশানন্দ, রাজস্থানের আশারাম বাপু, তার ছেলে নারায়ণ সাঁই, হরিয়ানার সন্ত রামপাল, তামিলনাড়ুর স্বামী প্রেমানন্দ, উত্তর প্রদেশের প্রেমানন্দ মহারাজ, চিত্রকূটের স্বামী ভীমানন্দজি মহারাজ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর