মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রংপুরে ঘরে বসে নেই কোনো প্রার্থী

নিজম্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে ঘরে বসে নেই কোনো প্রার্থী

রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন জমে উঠতে শুরু করেছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রকাশ্যে প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও ঘরে বসে নেই প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থীদের মতো ভোটাররাও বসে নেই। হাটে-বাজারে, পাড়া-মহল্লায় এবং চায়ের দোকানে চলছে ভোটের আলোচনা। এদিকে গতকাল মেয়র পদে একজন নারীসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র  সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কাওসার জামান বাবলা ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী সুইটি আঞ্জুম। বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে বাবলাই মনোনয়ন পাবেন বলে স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন। এর আগে মেয়র পদে আরও চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরা হলেন— জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এবং আবদুল মজিদ বীরপ্রতীক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু। অপরদিকে গতকাল পর্যন্ত ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১০৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব প্রার্থীই নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিভিন্ন এলাকায় বৈঠক করছেন। জনসংযোগ করছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু নিজ বাড়িতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তিনি জানান, দু-এক দিনের মধ্যে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র নিতে যাবেন। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘু বাজারে গিয়ে দেখা গেল ওষুধ ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানের দোকানে বেশ কয়েকজন ভোটার বসে ভোটের আলোচনা করছেন। তারা বললেন, মেয়র পদে কাকে ভোট দেবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। আলোচনার মধ্যে রয়েছে কারা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন। বর্তমান কাউন্সিলররা ভোট করলে জিততে পারবেন কিনা। নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের পান দোকানি আবদুস সাত্তার বলেন, মেয়র প্রার্থী যেই হোক, রংপুরের উন্নয়ন চাইলে সরকারি দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। পার্কের মোড়ের রিকশাচালক আবদুল মজিদ বলেন, দলটল বুঝি না, উন্নয়নের স্বার্থে নৌকাকে ভোট দেওয়া নাগবে। আর শাপলা চত্বর এলাকার মুদি দোকানি তাজুল ইসলাম বলেন, এরশাদের লাঙ্গল। তার ইজ্জত রক্ষা করায় লাগবে।

সর্বশেষ খবর