সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারেক রহমান কাজ করছেন দেশের জন্য : খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্যই কাজ করছেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের সেই রক্তই তারেক রহমানের গায়ে বইছে। সেই রক্তই ছিল আরাফাত রহমানের গায়ে। তারা নিজেরা কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য, দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে এবং করছে। শনিবার রাতে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরাম’র উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মাহবুবুর রহমান, সাইফুর রহমান ও সাইফুল ইসলামের লেখা-বইগুলো যথাক্রমে- ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি’ এবং ‘দীপ্তিমান দেশনায়ক’। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, তারেক তার বক্তব্যে সত্য কথা তুলে ধরে। এই সত্য কথা বলার জন্য সরকার তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বেগম জিয়া বলেন, তারেক রহমান আমার ছেলে। সে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছেলে। তার কিছু পাওয়ার নেই, শুধু কিছু দেওয়ারই আছে মানুষের জন্য। সে জন্য সে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে, দেশের মানুষের মাঝে ফিরে আসতে পারে। বিএনপি-প্রধান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে ভালোবাসত। সে জন্য আমি এ দেশের মানুষের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য চিকিত্সাধীন অবস্থায় এখনো বাংলাদেশের যখনই কেউ যায়, নেতা-কর্মী অথবা বড় কেউ গেলে তাদের সঙ্গে দেখা করে। তাদের কাছ থেকে দেশ সম্পর্কে জানতে চায়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, তাজমেরী এস ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাসির উদ্দিন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মিজানুর রহমান সিনহা, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, নূর-ই আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তরুণ সমাজ ধ্বংসে সরকারের নীলনকশা : সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করতে নানামুখী নীলনকশা প্রণয়ন করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন এ অভিযোগ করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেফতার করে বারবার মিথ্যা মামলায় পুলিশি রিমান্ডের নামে হয়রানি ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশের আদর্শবাদী তরুণ সমাজকে বর্তমান সরকার তাদের দুঃশাসনের প্রতিপক্ষ ভাবছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাই সরকারের উদ্দেশ্য। গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, তরুণ সমাজকে ভয় পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু বর্তমান ভোটারবিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকার জানে না যে, অনাচার, অবিচার ও লুটপাটকারী সরকারকে পরাজিত করতে তারুণ্যকে  কোনোভাবেই দমন করে রাখা যায় না।

সর্বশেষ খবর