মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

‘মিন্টু-সুপার’ টমেটো চাষে বাজিমাত

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

‘মিন্টু-সুপার’ টমেটো চাষে বাজিমাত

মাটি থেকে প্রায় ছয়-সাত ফুট উঁচু টমেটো গাছ। গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো গাছে ভর্তি টমেটো। দেখতে অনেকটা আপেলের মতো হওয়ায় বাজারে রয়েছে এর বিশেষ চাহিদা।

বেসরকারিভাবে উদ্ভাবিত টমেটোর বিশেষ এই জাতের নাম ‘মিন্টু-সুপার’। খুলনার বিল এলাকায় ঘেরের আইলে এবারই প্রথমবারের মতো এই টমেটোর চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগাম ফলন হিসেবে খুলনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মিন্টু-সুপার’ টমেটো। অল্প জমিতে ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন এই টমেটো চাষে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা শহরের রায়েরমহল বিল এলাকায় যতদূর চোখ যায় সবুজের হাতছানি। সারি সারি গাছে ঝুলছে মিন্টু-সুপার জাতের টমেটো। কৃষকরা জানান, ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় তারা এই টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। টমেটো চাষি এমদাদুল হক জানান, ‘এই টমেটোর স্বাদ ও ফলন খুব ভালো। মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাওয়ায় এরই মধ্যে ২০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। পুরো মৌসুমে আড়াই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি হবে’। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, বেসরকারিভাবে উদ্ভাবিত ‘মিন্টু-সুপার’ টমেটোর পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য মেলায় তা ব্যাপকভাবে কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌসুমে ধান ও মাছ চাষ করে একসময় যাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটত, এখন ঘেরের আইলে টমেটো চাষে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মারিয়া হক মিতুল বলেন, মিন্টু-সুপার চাষে কীটনাশক লাগে না। আর তাই বিষমুক্ত সবজি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষকরা নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে টমেটো বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এদিকে মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, আগাম ফলনের দাম ভালো পাওয়ায় এই বিশেষ জাতের টমেটো চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ঘেরের পাড়ে এই মিন্টু-সুপার জাতটা খুব ভালো। এটা ছয়-সাত ফুট লম্বা হয় এবং গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ফল ধরে। যেহেতু ক্রেতাদের খুব পছন্দ জাতটা, সেহেতু কৃষকরাও খুব উত্সাহী এই জাতটা লাগানোর ক্ষেত্রে।

সর্বশেষ খবর