শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চীনে তৈরি ভেজাল ওষুধ আমদানি আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন নামি কোম্পানির ওষুধ চীনে নকল করা হয়। একটি অসাধু চক্র চীনে এসব ওষুধ প্রস্তুত করায়। এরপর তারা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের কথা বলে আমদানি করে। ক্যান্সার প্রতিষেধকসহ জীবন রক্ষাকারী দামি এসব ওষুধ চীন থেকে এনে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বিদেশে তৈরি ভেজাল ওষুধ আমদানির তথ্য পেল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা থেকে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তারা হলেন— রুহুল আমিন ওরফে দুলাল চৌধুরী, নিখিল রাজ বংশী ও সাঈদ। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে তাঁতীবাজারের একটি গোডাউন থেকে ২১ হাজার পাতা ওষুধ এবং ৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। সিআইডি বলছে, এসব নকল ওষুধ মানুষের জীবননাশের কারণ। গতকাল দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রায় সময়ই চীনে যাতায়াত করতেন। সেখানে গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ভেজাল ওষুধ তৈরির অর্ডার দিতেন। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডসহ নিম্নমানের উপাদান দিয়ে নামিদামি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করা হতো। এরপর ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানির আড়ালে কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় এসব ওষুধ আমদানি করত এ চক্র।

আমরা তাদের কাছে এমটিএক্স, ক্লোমাইড ও রিভোকন নামের তিন ধরনের ভেজাল ওষুধ পেয়েছি। এসব ওষুধ প্রতি পাতা তৈরি এবং আমদানিতে ব্যয় হতো ১২ টাকা। যা দেশে প্রতি পাতা বাজার মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তারা এজেন্টদের কাছে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করত। চক্রটি চীন থেকে ভেজাল ওষুধ এনে একটি গোডাউনে রাখত। তারপর এজেন্টদের মাধ্যমে দেশের বাজারে ছড়িয়ে দিত। জীবন রক্ষাকারী এসব দামি ওষুধে ভেজালের ফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা মূলত জুয়াড়ি। বিভিন্ন ক্যাসিনোতে গিয়ে জুয়া খেলতে তাদের পরিচয়।

 এরপর পরস্পরের যোগসাজশে চীনে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আমদানির পরিকল্পনা করে। তারা স্বীকার করেছে, বেশি লাভের আশায় এসব নকল ওষুধ চীন থেকে তৈরি করে তারা দেশে আনছে। এর সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছি। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওষুধগুলো কোন কোন পয়েন্টে বিক্রি হয় এবং তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর