শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

জাবি ক্যাম্পাসে পাখিমেলা

শরিফুল ইসলাম সীমান্ত, জাবি

জাবি ক্যাম্পাসে পাখিমেলা

‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়, হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে; হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে, কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হব কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়।’ কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এভাবেই ফুটে ওঠে বাংলার চিরায়ত আবহ। প্রকৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই পাখিরা একদিকে যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ায় তেমনি অবদান রাখে পরিবেশের বাস্তুসংস্থানে। তবে নানা কারণে দিন দিন কমছে এর সংখ্যা। তাই গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে হচ্ছে পাখিমেলা। তারই ধারাবাহিকতায় জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের উদ্যোগে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো ১৭তম পাখিমেলা। ‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উদ্বোধন করেন বর্ণাঢ্য এ মেলার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও অতিথি পাখির জন্য ক্যাম্পাসে মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করে নানা বয়সী দর্শনার্থীরা। দিনব্যাপী বিভিন্ন পর্বে ছিল আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা ও চেনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারস দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, বিগ বার্ড বাংলাদেশ, বার্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ও কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ প্রদান, জাবি ক্যাম্পাসের পাখিবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে অবদান রাখায় ডেইলি স্টারের আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলানিউজ২৪ডটকমের নুর আলম হিমেল, সময় টিভির তোহা খান তামিমকে ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ প্রদান করা হয়। মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো কামরুল হাসান বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধি। আমরা যখন শুরু করি তখন এটার এত প্রচার ছিল না। এখন এটা জাতীয় ইভেন্ট হয়ে গেছে। সারা দেশ জানে জাবিতে পাখিমেলা হয়। এতে সারা দেশে পাখি গবেষণা ও সংরক্ষণে সাড়া পাওয়া যায়। মেলা আয়োজনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী ছিল ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, আইইউসিএন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর