সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি আসমাউল হুসনা সুমনার পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ গতকাল শেষ হয়েছে। তবে সুমনার কাছ থেকে সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় তাকে আবারও রিমান্ডে নিতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। ফের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সিটিটিসির উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম।
মহিবুল ইসলাম বলেন, এই পর্যায়ে এসে সুমনার এখন মনে হচ্ছে জঙ্গিবাদে জড়ানো ঠিক হয়নি। সুযোগ পেলে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান বলেও জিজ্ঞাসাবাদে আশ্বাস দিয়েছেন। সুমনাকে ফের কেন রিমান্ডে নেওয়া হবে— জানতে চাইলে মজিবুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ সম্পর্কে তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু জানার আছে। এখনো তিনি পুরোপুরি তথ্য দেননি।
বিশেষ করে তার সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল, তার বড় বোনের কথায় তিনি কেন জঙ্গিবাদে জড়ালেন এ ধরনের আরও অনেক বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে সুমনার বড় বোন মোমেনা সোমা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে ঢাকার একটি এলাকার মসজিদে গিয়ে নারীদের সঙ্গে মিলিত হতেন বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তারা জানতে পেরেছেন, দুই বোনই একসময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় নারীদের সঙ্গে সভা করতেন। তবে এসব তারা জানছেন বিদেশে গিয়ে সোমার সন্ত্রাসবাদী আচরণের পর। দেশে সোমার ওপর কোনো ধরনের নজরদারি ছিল না তাদের, তার ব্যাপারে কোনো তথ্যও তাদের কাছে ছিল না। ৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে বাংলাদেশি মোমেনা সোমাকে (২৪) অস্ট্রেলিয়া পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা রবিবার তার ছোট বোন সুমনাকে গ্রেফতার করেন। সিটিটিসি সূত্র জানায়, সোমা ও তার পরিবারের সদস্যরা আহলে হাদিস অনুসারী।