শিরোনাম
সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

অর্ধশত মৌচাক এক বাড়িতে

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

অর্ধশত মৌচাক এক বাড়িতে

নওগাঁর আত্রাইয়ের ভবানীপুর গ্রামের একটি ফ্ল্যাট বাড়ির চারপাশজুড়ে রয়েছে অর্ধশত মৌচাক। বাড়িটি ঘিরে প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার মৌমাছির আনাগোনা। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে মধু সংগ্রহ করে আপন মনে ফিরছে চাকে। বাড়ির লোকজন বা প্রতিবেশী কাউকেই ক্ষতি করে না। ইতিমধ্যে বাড়িটি এলাকাবাসীর কাছে মৌমাছির বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ সব মৌমাছি চাষ করা নয়, প্রাকৃতিকভাবেই চাক বসিয়েছে বাড়িটিতে। চাক থেকে বাড়ির মালিক দীর্ঘদিন ধরে মধু সংগ্রহ করে আসছেন। একতলা বাড়ির ছাদের কার্নিশ জুড়ে সারিবদ্ধ ভাবে মৌচাকগুলো সাজানো। বাড়ির মালিক আহাম্মদ আলী জানান, তিন-চার বছর ধরে তার বাড়িতে এ রকম মৌমাছির চাক রয়েছে। সরিষা মৌসুমে চাকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এ সব মৌচাক থেকে শুধু সরিষা মৌসুমেই মধু সংগ্রহ করা হয় দুই বার। প্রতিবার ৪০-৫০ কেজি মধু পাওয়া যায়। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুল ও পানি স্বল্পতার কারণে ৮-১০টি মৌচাক থাকে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস এলে চাকের সংখ্যা বেড়ে ২০-এ দাঁড়ায়। তিনি আরও জানান, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় ভালোভাবে মধু সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কৃষি বিভাগের কেউ জানে কি না তাও জানা নেই তার। আহমাদ আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মধু আহরণের জন্য ছুটে যায় আবার মধু নিয়ে চাকে ফিরে। এ সময় সারা বাড়ি মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে। শুধু ঘরের বাইরে না ঘরের ভিতরেও মৌমাছিরা বাসায় বসতে চায়। কিন্তু বাচ্চাদের হুল ফোটাতে পারে এমন আশঙ্কায় বসতে দেই না। তিনি বলেন, ‘মৌমাছির এ মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে তাদের বাড়ি প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে। এতে তারা বেশ আনন্দিত।’ আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাওছার হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর