প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্র মামলায় পলাতক ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা পলাতক আসামিরা হলেন- দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিনে থেকে হাজির ছিলেন। এর আগে পাঁচ আসমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। ওই অভিযোগপত্রে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। জানা গেছে, জয় তার সাক্ষীর জবানবন্দিতে বলেন, রিজভী আহমেদ সিজার নামে একজন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এফবিআইয়ের এজেন্টের কাছ থেকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় এফবিআই সিজারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। আমি ওই মামলায় কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছি। পরে আসামিদের সাজা হওয়ার কথা আমি জানতে পারি। আসামি রিজভী আহমেদ সিজার বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সহযোগিতায় আমাকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার জন্য আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এ কারণে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে এককালীন ৪০ হাজার ডলার ও মাসিক ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে চুক্তি করে।