ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরু মাতব্বরের সঙ্গে গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওদুদ মাতব্বরের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মার্চ গট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই পক্ষের ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা চলাকালীন সময়ে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সংঘর্ষ থামাতে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ শটগানের ১৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
