রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

গাছে গাছে মাটির কলস

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

গাছে গাছে মাটির কলস

পাখির আবাসস্থল তৈরিতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ৫০ জন তরুণ। গাছে গাছে তারা বেঁধে দিচ্ছেন মাটির কলস। ‘আশ্রয়’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে এর ব্যানারে তারা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেরা এ কাজের পাশাপাশি অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন। তাদের এ উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আশ্রয়ের উদ্যোক্তা রাজীব কুমার সরকার জানান, ‘সম্প্রতি কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিতজন নিয়ে ভালো কাজ কী করা যায়, সে বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা বাজারে আলোচনা করি। এক বন্ধু বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় পাখি রক্ষায় কিছু করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তার কথার সূত্র ধরেই গাছে গাছে পাখির আবাসস্থল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নিজেদের মধ্যে চাঁদা ধার্য করে এ কাজে হাত দেওয়া হয়।’ মাহমুদ কামাল নামে আরেক উদ্যোক্তা জানান, ‘বন্ধুবান্ধবরা কেউ চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসাসহ নানা পেশায় নিয়োজিত। কাজের ফাঁকে সমাজের জন্য ভালো কিছু করার তাগিদেই আমরা আশ্রয় নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছি। ভালো সবকিছুরই আশ্রয় মিলবে এই আশ্রয় সংগঠনে।’ তিনি জানান, ‘নানা কারণে দেশি পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। আশ্রয়ের মাধ্যমে যদি কিছুটা হলেও রক্ষা পায়, সে চেষ্টাই আমরা করছি।’ আশ্রয়ের ব্যানারে শুধু পাখি রক্ষাই নয়, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ জোগানো, শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র দেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অংশ নেওয়া হবে। মূলত ভালো কিছু করার তাগিদেই পাখির আবাসস্থল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন এই তরুণরা। আচমিতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গাছে গাছে মাটির কলস বেঁধে দিয়েছেন তারা।

তাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় কৃষক, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। আগে যারা পাখি দেখলেই ঢিল ছুড়ে মারতেন, এখন তারাও পাখি রক্ষায় এগিয়ে আসছেন। আশ্রয়ের সংগঠকরা জানান, পাখি রক্ষা ও পাখির বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যেই তারা পাখির আবাসস্থল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে কটিয়াদী উপজেলার প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর