সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এমডিসহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬৫ কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, এমডিসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের পৃথকভাবে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন   উপপরিচালক (জনসংযোগ)। তারা হলেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী ও মো. ফজলুর রহমান এবং কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এ চারজনই এজাহারভুক্ত আসামি। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। এ চার কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২৫ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করেন। এই সময়ে ওয়াহিদুল হক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। কথিত ওই বিনিয়োগ এবং অর্থ আত্মসাতের নেপথ্যে ব্যাংকের গ্রাহক ব্যবসায়ী আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের সাইফুল হকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দুদকের অভিযোগ। একসময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কাজ করা সাইফুলের এবি ব্যাংকে কোনো অংশীদারিত্ব নেই। তবে তিনি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের দ্বিতীয় মেয়ের স্বামী। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে এজাহারে আরও বলা হয়, দুবাইয়ে থাকাকালে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য খুররম আবদুল্লাহ ও আবদুস সামাদ খানের সঙ্গে সাইফুলের সখ্য হয়। তিনি এবি ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হকেরও পূর্বপরিচিত। সাইফুলই এবি ব্যাংকের অর্থ পাচারের বিষয়ে ওই প্রতারক চক্রের সঙ্গে ওয়াহিদুল হকের পরিচয় করিয়ে দেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল ব্যাংকের বোর্ডকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুবাই গিয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর ওই প্রতারক চক্র পিনাকল গ্লোবাল ফান্ড (পিজিএফ) নামে একটি কোম্পানি সৃষ্টি করে। সেই কথিত পিনাকলের ৮ কোটি ডলারের সঙ্গে এবি ব্যাংকের ২ কোটি ডলার মিলিয়ে ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে তা দুবাইয়ে বিনিয়োগের একটি কাল্পনিক প্রস্তাব তৈরি করা হয়। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও শামীম আহমেদের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংকের বোর্ডসভায় পাস করিয়ে নেওয়া হয় ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে চেং বাও জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের এক কোম্পানির নামে পাঠানো ওই ২ কোটি ডলার আবুধাবির একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যায়। সেখান থেকে পরে তা আত্মসাৎ করা হয়।

সর্বশেষ খবর