সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

ক্যাপসিকাম চাষে সম্ভাবনা ভোলায়

জুন্নু রায়হান, ভোলা

ক্যাপসিকাম চাষে সম্ভাবনা ভোলায়

ভোলার চরাঞ্চলে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষের অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মাঝের চরে ক্যাপসিকাম চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় এই সবজি চাষের প্রতি চরের চাষিদের আগ্রহ বেড়েই চলছে। তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় রোগবালাইসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্যাপসিকাম চাষিদের। মেঘনা নদীর মাঝে জেগে ওঠা মাঝের চরে ধান, সয়াবিনের পাশাপাশি লাউ, শসা, করলা, চিচিংগাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছিল চাষিরা। ৬ বছর আগে সদর উপজেলার কাচিয়া এলাকার মনির পাঠান প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। মনির পাঠান জানান, আগে তিনি ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ক্যাপসিকাম আমদানি করে ঢাকায় ব্যবসা করতেন। এই সুবাদে তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ক্যাপসিকাম চাষের পদ্ধতি দেখেন এবং এক পর্যায়ে নিজেই এর আবাদ শুরু করেন। প্রথমে অল্প জমিতে চাষ করলেও এ বছর তিনি মেঘনার মধ্যবর্তী চরে ২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। তিনি জানান, ২ একর জমিতে চাষ করতে গিয়ে তার সর্বমোট ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দুই মাসের মাথায় এ পর্যন্ত ৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও দুই মাসে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। বর্তমানে এই চরে ১২ জন চাষি প্রায় ১২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এই সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কাচিয়ার মাঝের চরে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি খেতে ক্যাপসিকামের আবাদ হয়েছে। ফলন বেশ ভালো। কিন্তু অনেক ক্যাপসিকাম পোকায় খেয়ে ফেলেছে। আবার কিছু কিছু পরিপক্ব হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, কয়েক বছর ধরে সদর ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী মাঝের চরে ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে। গত বছর ৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছিল। এ বছর ১১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ক্যাপসিকাম একটি বিদেশি সবজি। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।  চাষিরা এটি আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর