বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাসায় ফিরলেন মেহেদী স্বর্ণা ও রাশেদ

নেপালে বিমান ট্র্যাজেডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসায় ফিরলেন মেহেদী স্বর্ণা ও রাশেদ

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। গতকাল বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ও নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের জন্য গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিকালে মেহেদী, স্বর্ণা ও রাশেদকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। ওরা ভালো আছেন।

এদিকে, স্বামী-সন্তান হারানো আলীমুন নাহার এ্যানিকে ছুটি দেয়নি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ। তাকে রেখেই বাসায় ফিরলেন এ্যানির দেবর মেহেদী, তার স্ত্রী স্বর্ণা ও রাশেদ। চিকিৎসকরা বলছেন, এ্যানিকে আরও দুই-তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মেহেদী ও স্বর্ণাকে ১২ দিন এবং রাশেদকে ১১ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে মেহেদী, স্বর্ণা ও রাশেদকে। স্বর্ণার ভাই আতাউর রহমান বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের তাদের নম্বর দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আসার কথা জানিয়েছেন। তবে এখন তারা দুজনই ভালো আছেন। হাসপাতাল ছাড়ার সময় রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, খুবই ভালো লাগছে। পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছি। এ দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আর এখনো যারা ভর্তি রয়েছেন তারা যেন দ্রুত সুস্থ হন সেই দোয়া করি। মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, বাকি সময় যেন ভালোভাবে থাকতে পারি এই দোয়া করবেন। মানুষের কল্যাণে যেন কাজ করতে পারি। স্বর্ণা সাংবাদিকদের বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবার কাছে দোয়া চাই। সারা জীবন যেন ভালো থাকতে পারি। গত ১২ মার্চ ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়। ওই ফ্লাইটে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন, আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি। ওই ফ্লাইটেই নেপাল ভ্রমণে যাচ্ছিলেন এ্যানি, তার স্বামী ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও সন্তান প্রিয়ন্ময়ী; এ্যানির দেবর মেহেদী ও তার স্ত্রী স্বর্ণা। দুর্ঘটনায় প্রিয়ক ও প্রিয়ন্ময়ী নিহত হন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে চিকিৎসার জন্য একজনকে নেওয়া হয় দিল্লিতে, দুজনকে সিঙ্গাপুরে। বাকি সাতজনকেই ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইউনিটে মারা যান শাহীন ব্যাপারী। কবির হোসেনকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। আর মেহেদী, স্বর্ণা ও রাশেদকে গতকাল চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ভর্তি আছেন এ্যানি ও শাহরিন আহমেদ।

সর্বশেষ খবর