দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে বৃহৎ ঈগল। বিস্তৃতি রয়েছে মধ্য এশিয়া থেকে পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ঘন বনাঞ্চল এদের পছন্দ নয়। খোলা এলাকায়ই বিচরণের জন্য উপযুক্ত মনে করে। মাঠপ্রান্তরে উড়ে উড়ে শিকারের খোঁজ করে। বিচরণ করে একাকী কিংবা ছোট দলে। স্বভাবে হিংস্র। জলের ওপর ঝাঁপিয়ে শিকার ধরার চেয়ে ডাঙ্গার ওপরের শিকারের প্রতি মনোযোগী বেশি। বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক নয় বিধায় আইইউসিএন এদের লাল তালিকাভুক্ত করেছে। এই পাখির বাংলা নাম ‘বৃহৎ ঈগল’, ইংরেজি নাম ‘ইস্টার্ন ইম্পিরিয়েল ঈগল’ বৈজ্ঞানিক নাম Aquila heliaca। এরা ‘এশীয় শাহী ঈগল’ নামেও পরিচিত। দৈর্ঘ্য কমবেশি ৭২-৯০ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ২.৪৫ থেকে ৪.৫৫ কেজি। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। মাথার পেছনের পালক খোঁচা খোঁচা। দেহের সব পালক গাঢ় বাদামির সঙ্গে অসংখ্য সাদা ফুটকি। লেজ কালো। উড়ার পালক কালচে গাঢ় বাদামি। দেহতল গাঢ় বাদামির সঙ্গে কদম ফুলের মতো সাদা দাগ। ঠোঁট বড়শির মতো বাঁকানো, অগ্রভাগ কালো, বাদবাকি হলুদ। ঠোঁটের কিনারা হলুদ চামড়ায় আবৃত। প্রধান খাবার মাছ, ইঁদুর, সরীসৃপ ও ছোট পাখি। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে এপ্রিল। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বিশাল আকৃতির বাসা; অগোছালো। উঁচু গাছের ওপর সরু ডালপালা বিছিয়ে বৃহৎ আকারের বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৪১-৪৩ দিন।