তালাবদ্ধ ঘরে খাটের ওপর পড়ে আছে মায়ের লাশ। পাশেই ক্ষুধায় মৃত মায়ের আঙ্গুল চুষছে দেড় বছরের শিশু। কখনো আবার কাঁদছে। এভাবেই মায়ের লাশের পাশে তিন দিন কেটে গেছে অবুঝ শিশুটির। একপর্যায়ে লাশ পচে তীব্র দুর্গন্ধ বের হলে সে কান্না শুরু করে। শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মায়ের মরদেহ মর্গে পাঠায়। ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কোতালেরবাগ বৌবাজার এলাকায়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন জানান, কোতালেরবাগের আল-আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় গার্মেন্ট কর্মী রীমার। তাদের ঘরে আছে দেড় বছরের শিশুপুত্র নাহিদ। বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা আল-আমিনের ঘরে নাহিদের কান্না শুনতে পান। কিছুক্ষণ কান্নার শব্দ শুনে টিনের একচালা ঘরের কাছে গিয়ে দেখতে পান বাইর থেকে দরজায় তালা। এরপর টিনের ফুটো দিয়ে দেখে রিমা খাটের ওপর দুই হাত ছড়িয়ে পড়ে আছে। শিশুটি বুকের কাছে বসে মায়ের হাতের আঙ্গুল চুষছে, আবার কাঁদছে। এ সময় ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় লোকজন তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এলাকাবাসী জানায়, রিমা আল-আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে রিমাকে কারণে-অকারণে মারধর করা হতো। কয়েক মাস আগে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এক সপ্তাহ আগে আল-আমিন এক আত্মীয়র বাসা থেকে রিমাকে ফিরিয়ে আনে। সর্বশেষ সোমবার সকালে রিমাকে ঘরের সামনে বসে থাকতে দেখা গেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রিমার স্বামী আল-আমিনসহ পরিবারের সবাই আত্মগোপন করেছে। আল-আমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।