শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ

১০ লাখ স্বাস্থ্যসামগ্রী সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য দশ লাখ স্বাস্থ্যসামগ্রী দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদা জানানোয় মোট ৯ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের এসব স্বাস্থ্যসামগ্রী দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তিন ধাপে এই বিশাল পরিমাণ স্বাস্থ্যসামগ্রীর সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-এর মিশন ডিরেক্টর ইয়ানিনা জারুজেলস্কি বলেন, ‘সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে ইউএসএইড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মার্কিন দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএসএইড গত ২৫ মার্চ ৬ লাখ ২২ হাজার ৮০০ ডোজ ইনজেকটেবল             কন্ট্রাসেপ্টিভ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৯ লাখ ডলার মূল্যেরও ওপরে প্রায় দশ লাখ কন্ট্রাসেপ্টিভ দিল। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২ লাখ ৯২ হাজার  ডোজ কন্ট্রাসেপ্টিভ এবং গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ত্রিশ লাখ প্যাকেট ওরস্যালাইন প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং  রোহিঙ্গারা যে এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে সেই এলাকার জনগণকে ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বার্মা থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গারা প্রকট স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং পাশাপাশি সেখানে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যসামগ্রীর অপ্রতুলতা। বিশেষ করে, নবজাতক, শিশু, স্তন্যদাত্রী ও গর্ভবতী নারীরা অপুষ্টি, সংক্রামক রোগ ও খাদ্য অনিরাপত্তার শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে সাহায্যের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইউএসএইড মূলত জরুরি জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা এবং পুষ্টিসেবামূলক সহায়তা প্রদান করছে। অন্যদিকে, ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে সাতশ কোটি ডলারেরও  বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে।

২০১৭ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় ২১ কোটি ডলার সহায়তা করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপখাওয়ানো ইস্যুতে এসব সহায়তা করেছে বলেও উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

সর্বশেষ খবর