শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে মনোনয়ন লড়াই, বিএনপি চুপ

আবদুল বারী, নীলফামারী

আওয়ামী লীগে মনোনয়ন লড়াই, বিএনপি চুপ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নীলফামারী-৩ আসনে (জলঢাকা) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূলে নেতাদের সমর্থন পেতে তারা নানা তৎপরতা শুরু করেছেন। বিএনপির কারো প্রকাশ্য তৎপরতা না থাকলেও তৃণমূলে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাই। এই আসনটিতে বিগত নির্বাচনে বেশিরভাগ সময়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত এবং মুসলিম লীগ থেকে। সারা দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের যে কয়েকটি উর্বর এলাকা রয়েছে তার মধ্যে নীলফামারী-৩ আসন অন্যতম। এ আসনে এবার লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যেই। কোন্দলমুক্ত হতে পারলে এবারও এ আসনে আওয়ামী লীগ ফেভারিট। আওয়ামী লীগ এই আসনে তাদের জয়-পরাজয় নির্ভর করবে প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর। দশম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘আসনটি স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছি, এলাকার মানুষের কল্যাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের উন্নয়ন করেছি। দৃশ্যমান উন্নয়নে নির্বাচনী এলাকাটি এখন আর অবহেলিত নয়। সাধারণ মানুষ এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন রুবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ এ কে আজাদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। এই আসনে আওয়ামী নেতাদের চোখে যত স্বপ্নই থাক সাধারণ কর্মীদের হতাশার শেষ নেই। নেতায় নেতায় গ্রুপিংয়ে এখানে আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগ। দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় জলঢাকা উপজেলা  আওয়ামী লীগের। ওই কমিটিতে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যথাসময়ে সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্ব তৈরিতে বাধা এবং হাতে গোনা কয়েকজনের কবজায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে জলঢাকা উপজেলার কার্যক্রম। এই আসনটিতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা তেমনটা ভালো না হওয়ায় এবং প্রার্থী সংকটে রয়েছে এই দলটি। ২০ দলীয় জোট প্রার্থী হতে পারেন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরী কমেট। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারেন। এই আসনে এবার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের ও মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ।

সর্বশেষ খবর