শিরোনাম
শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রমত্তা পাগলা এখন মরা খাল

মো. রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রমত্তা পাগলা এখন মরা খাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাগলা নদী এখন মরা খাল

ভারত থেকে বয়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি নদীই নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক কালের প্রমত্তা মহানন্দা, পাগলা আর পুনর্ভবা নদী কালের আবর্তে বর্তমানে নালার রূপ ধারণ করেছে। আর পদ্মা নদীতে পড়েছে বড় বড় বালুচর। ফলে এখন নদীগুলোর কোল জুড়ে মানুষজন চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে পাগলা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাটের ভিতর এসে মিশেছে। প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি সদর উপজেলায় মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিশেছে। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাগলা নদীর গতিপথ ভরাট হওয়ায় নদীর অস্তিত্ব আজ বিলীন হতে চলেছে। আর এর ফলে নদীতে এখন চাষাবাদ হচ্ছে। অন্যদিকে মালদহ জেলার মহানন্দা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে গিয়ে পদ্মা নদীর সঙ্গে একত্রিত হয়েছে। মহানন্দা নদীর অবস্থাও অত্যন্ত করুণ। আগে নদীটিতে নাব্যতা থাকায় বড় বড় নৌকা ও জাহাজ চলাচল করত। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে নদীটি আজ ভরাট হতে চলেছে। নদীর দুপাড়ে এখন মানুষ চাষাবাদ করছে। তবে এই নদীর পশ্চিমে রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রায় ৩৬ কি.মি নদী খনন করা হবে বলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান। অপরদিকে ভারতের মালদহ জেলার আত্রেয়ী নদী গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর হয়ে পুনর্ভবা নাম ধারণ করে মকরমপুর নামক স্থানে মহানন্দা নদীর সঙ্গে মিশেছে। পানিশূন্যতার কারণে এই নদীরও দুপাড়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছে আশপাশের মানুষ। এছাড়া ভারতের উজানে ফারাক্কা বাঁধের ভাটিতে গঙ্গা নদী শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর নামক স্থানে পদ্মা নাম ধারণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু নব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নদীর বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় অনেক চর। সর্বোপরি বন্যার সময় জেলার ৪টি নদীই পানিতে টই-টুম্বুর থাকলেও খরা মৌসুমে প্রায় শুকিয়ে যায়। এসময় নদীর তীর ঘেঁষে ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও পাগলা নদী খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এবং মাছ চাষসহ জমি সেচ সুবিধা পাবে বলে মনে করেন মত্স্য ও কৃষিবিদরা ।

সর্বশেষ খবর