বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মোটরসাইকেল চুরির বিশাল চক্র

১৮ মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো গ্যারেজ বা উন্মুক্ত স্থানে মোটরসাইকেল পার্কিং করা হলেই চুরির জন্য টার্গেট করা হয়। টার্গেট নিশ্চিত হলেই কয়েক মিনিটের মধ্যে খোলা হয় লক। এরপর সেটি চালিয়ে নেওয়া হয় রাজধানীর আশপাশে গড়ে তোলা আস্তানায়। সেখানে নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে মোটরসাইকেলটি আর চেনার উপায় থাকে না। যিনি কেনেন তিনিও জানেন না এটি  চোরাই মোটরসাইকেল।

মোটরসাইকেল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি বলছে, মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজীব মুন্সি, আবদুর রহিম, জাকির হোসেন ও মোক্তার হোসেন। অন্য একটি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার ও ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা মূলত বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে, বিভিন্ন শপিং মল, দোকান ও খোলা জায়গায় পার্কিং করা মোটরসাইকেল টার্গেট করত। টার্গেট করা হলেই চট করে লক খুলে সেটি নিয়ে যায় শিবচর, মাদারীপুর, দাউদকান্দি, শরিয়তপুরের ভবেরচড় ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নির্দিষ্ট আস্তানায়। সেখানে আগে থেকেই রাখা হয় ভুয়া নম্বর প্লেট। নম্বর প্লেটগুলো আগেই বিআরটিএ-এর কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে বানানো হয়। নম্বর প্লেট তৈরি করা হলেই চক্রের অন্য সদস্যরা কম দামে মোটরসাইকেলগুলো বিক্রি করে দেন। বিআরটিএ-এর কোন কোন সদস্য জড়িত এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কিছু ডকুমেন্টস জব্দ করেছি। এগুলো নিয়ে তদন্ত করলেই জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। যুগ্ম-কমিশনার বলেন, হাসপাতাল ও শপিং মলসহ মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জায়গায় টোকেনের ব্যবস্থা করলে চুরি কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর