বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাহাঙ্গীরনগরে শিক্ষকদের হাতাহাতি, প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

জাবি প্রতিনিধি

চার বছর দায়িত্ব পালনের পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য মনোনীত হন অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। তার দ্বিতীয় মেয়াদের নিয়োগ নিয়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাবির আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের রাজনীতি। একটি পক্ষ বর্তমান উপাচার্য ফারজানাপন্থি আর অপরটি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীরপন্থি। সেই প্রেক্ষাপটেই আবার নতুন করে উপাচার্য পতনের আন্দোলনে নেমেছেন কবীরপন্থি শিক্ষকরা। ফারজানা ইসলামের পুনর্নিয়োগকে কেন্দ্র করে শরীফ এনামুল কবীরপন্থি শিক্ষকরা শুরু থেকেই বর্তমান উপাচার্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু অভিযোগ তুলে ধরে গতকাল সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মাঠে নামেন তারা। দিনের শুরুতেই তাই ভোর ৫টায় ঢাকায় বসবাসরত শিক্ষকদের আনতে কোনো শিক্ষকবাহী বাস যেন ঢাকায় যেতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় অবস্থিত পরিবহন ডিপোর গেটে তালা লাগিয়ে দেন কবীরপন্থি শিক্ষকরা। খবর পেয়ে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন গেটের তালা খোলা নিয়ে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বাকবিতণ্ডা একসময় পরিণত হয় হাতাহাতিতে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু হয় কবীরপন্থি শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য সেখানে আসেন অফিস করতে। তাকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিলে দুই গ্রুপের শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হওয়া উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে ধর্মঘটী শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন করার অনুরোধ জানিয়ে বাসভবনে ফিরে যান উপাচার্য। এ ঘটনার পর উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা ধর্মঘটকে অহেতুক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন। বেলা ১২টায় কবীরপন্থি শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, ভোর ৫টার ঘটনায় বিকাল ৪টার মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ এবং অপরাধী শিক্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

সর্বশেষ খবর