বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদেশি কুকুরের লোভ দেখিয়ে অপহরণ

গ্রেফতার চার অপহরণকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থেকে ১১ বছরের শিশু সায়ান অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করেছে মুক্তিপণের ১৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃতরা হলো নাদিম হোসেন (১৯), নাইম হাওলাদার (২২), আসিফ (১৯) ও সজীব খান (২০)। সোমবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় র‌্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। এর আগে ২৭ মার্চ পল্লবী এক্সটেনশন এলাকার ২এফ/৩ নম্বর বাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় সায়ান। বিদেশি কুকুরের লোভ দেখিয়ে সায়ানকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক খন্দকার লুত্ফর কবির বলেন, সায়ান পল্লবীর এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউটের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ছোট্ট সায়ানের বিদেশি কুকুরের প্রতি বেশ আকর্ষণ ছিল। কিন্তু তার পরিবার অপছন্দ করায় সে কুকুর পুষতে পারত না। কুকুরের প্রতি সায়ানের দুর্বলতা জানার পর তাকে বিদেশি কুকুরের লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে সায়ানের বাবা সাইদুর রহমান ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছেলেকে মুক্ত করে আনেন। বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪।

অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী আসিফ এবং অন্যতম সহযোগী সায়ানদের গার্মেন্টের সাবেক কর্মচারী নাদিম।

সায়ানের চাচা কানাডাপ্রবাসী খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিদিন বিকালে সায়ান বাইসাইকেল নিয়ে বাসার সামনে খেলতে যেত এবং সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরে আসত। কিন্তু ২৭ মার্চ সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সায়ান বাসায় না ফেরায় গৃহশিক্ষক পড়াতে এলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে সায়ানের বাবা সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইল থেকে কল আসে। ওই কলে জানানো হয় সায়ানকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত অবস্থায় পেতে হলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ওই রাতেই আমার ভাই হাবিবুর রহমান রূপনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। তবে সায়ানের জীবনের কথা চিন্তা করে আমরা কাউকে না জানিয়ে অপহরণকারীদের ১৯ লাখ টাকা দিয়ে দিই। তারাও সায়ানকে ওইদিনই মিরপুর স্টাফ কলেজ এলাকায় মুক্ত করে দেয়। মামলা হওয়ার পর র‌্যাব-৪ এ বিষয়ে জোর তৎপরতা চালায়।

সর্বশেষ খবর