এ বছর ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে অসময়ের ভারি বর্ষণে অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকে গত মৌসুমে লোকসানের ধকল কাটিয়ে উঠতে না পেরে চলতি মৌসুমে তরমুজ আবাদ করেননি। ফলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ গুণ কম আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, মাটি, আবহাওয়া ও অনুকূল পরিবেশ থাকায় ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় তরমুজের প্রচুর আবাদ হয়। এ বছর জেলায় ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। সদর উপজেলার ভেদুরিয়া এলাকার তরমুজ চাষি লালমিয়া জনান, তরমুজ চাষ করতে যেমন লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় তেমনি ফলন ভালো হলে আবার লাখ লাখ টাকা লাভও হয়। তবে গত মৌসুমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তরমুজ খেত ডুবে ফসল নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছিল চাষিদের। তাই এ বছর অনেক চাষি ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ আবাদ করেননি। এ ছাড়া চলতি মৌসুমের শুরুতে ডিসেম্বরের ৮ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হয়। তখন পানিতে ডুবে অধিকাংশ খেতের বীজ কিংবা চারাগাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
এতে লাখ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে চাষিরা ঘরে ফিরে গেছে। অধিকাংশ চাষি প্রনরায় দ্বিতীয় দফায় আবাদ করতে সাহস পাননি। তাই এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪ গুণ কম জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। চরফ্যাশনের তরমুজ চাষি মনির হোসেন জানান, তিনি প্রায় ১৫ একর জমিতে তরমুজ আবাদ করতে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। ফলন বেশ ভালো হওয়ায় তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, এবার তরমুজের চারা রোপণের শুরুর দিকে বৃষ্টির কারণে অনেক চাষির ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। কিন্তু যে পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে তাতে কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ ও তদারকি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।