রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে ডজন প্রার্থী নতুন স্বপ্ন দেখছে বিএনপি

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

আওয়ামী লীগে ডজন প্রার্থী নতুন স্বপ্ন দেখছে বিএনপি

সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৩ আসন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে থাকলেও গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার আসনটি দখলে নেন।   আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রায় ডজনখানেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এখানে তৎপরতা শুরু করেছেন। আগের ভোটের হিসাবে এখানে বিএনপির অবস্থান ভালো না হলেও দলের নতুন জেলা সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক এ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছে দলটি। জাতীয় পার্টি এ আসনে প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর নাম ঘোষণা করায় তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ছাড়াও রয়েছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান বিপ্লব, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নেতা শাহ মো. ইয়াকুবুল আজাদ, নুরুল ইসলাম প্রধান, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, শামসুজ্জোহা প্রামাণিক রাঙ্গা, আজিজার রহমান বিএসসি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হক। জানতে চাইলে সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকার বলেন, দলের হয়ে দীর্ঘদিন পর আসনটি উদ্ধার করেছি। মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনেও এমপি হবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক। এ ছাড়া জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকও মনোনয়ন প্রত্যাশায় গণসংযোগ ও লবিং অব্যাহত রেখেছেন। ১৯৭৯ সালের পর থেকে এ আসনে বিএনপির নেতৃত্ব সংকট চলছে। এ কারণে প্রতিবারই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন বলে নেতা-কর্মীরা মনে করেন। জানতে চাইলে মইনুল হাসান সাদিক বলেন, বিএনপি আগের অবস্থানে নেই। সুযোগ পেলেই জনগণ তাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও মঞ্জুরুল হকও দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া জাসদ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, জাতীয় পার্টি-জেপি গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ফজলে করিম আহমেদ এ আসনে নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে অংশ না নিলেও দলের পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর