রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

আদমদীঘিতে বিলুপ্তির পথে দেশি ফল আতা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

আদমদীঘিতে বিলুপ্তির পথে দেশি ফল আতা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আতা ফলের গাছ একসময় গ্রামের প্রতি বাড়িতেই ছিল। কিন্তু গত দুই দশকের ব্যবধানে এ ফল বিলুপ্তির পথে চলে এসেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেসব আতা ফল এখন বাজারে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো পাশের দেশ ভারত থেকে আমদানি করা। কৃষি বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ ছাড়া জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধিতে বাড়িঘর নির্মাণে নির্বিচারে ফলের গাছ কাটা, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইত্যাদিকে ঐতিহ্যবাহী দেশি ফল হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাজারের ৮০ শতাংশই দখলে রেখেছে আমদানি করা ফল। আদমদীঘি বাজারের ফল ব্যবসায়ী সুদিন গ্রামের মিঠুন জানান, তার দোকানে যে আতা ফল বিক্রি হয় সেগুলো তিনি আড়ত থেকে কিনে এনেছেন। প্রতি কেজি আতা ফল ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন। ফলবিজ্ঞানীদের মতে, কৃষিপ্রধান ও উর্বর মাটির এ দেশের গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতাধিক প্রজাতির ফল গাছ ছিল। তবে নানা কারণে গত দুই দশকের ব্যবধানে এ সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে দেশে প্রধান ও অপ্রধান মিলিয়ে ৬০-৭০ প্রজাতির ফল রয়েছে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম, গোলাপজাম, নারিকেল, কুল, তৈকর, বিচিকলা, বিলিম্বি, বেত, লেবু, আমলকী, সফেদা, আতা, শরিফা, কলা, ডালিম, জাম্বুরা, সুপারি, বাঙ্গি, তরমুজ, বেল, কামরাঙা, জলপাই, চালতা, ডেউয়া, পেঁপে ইত্যাদি।

সর্বশেষ খবর