উৎপাদন ভালো হলেও হাওর এলাকায় কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফরম (হ্যাপ)। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হ্যাপের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মেনন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন, ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।
শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, হাওর অঞ্চলে ৭টি জেলা রয়েছে। সেখানকার মানুষের জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নির্ভরশীল তাদের উৎপাদিত ধানের ওপর। সরকার প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরেই কৃষকরা প্রতি মণ ধান সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৩০০ টাকা কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে কৃষক শুধু ঠকছেনই না, পাশাপাশি আরও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
কারণ এখানকার অধিকাংশ মানুষই গরিব হওয়ায় চাষাবাদের জন্য তাদের কোনো না কোনো সংস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে আছে— সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা কীভাবে ধান বিক্রি করতে পারবেন তার উপায় বের করা, ভাটির উঁচু-নিচু খেতগুলোকে সমতল করা, আগামী ২ মাসের জন্য প্রতিটি গ্রামে অস্থায়ী গোডাউন নির্মাণ করা এবং কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে কৃষককে সব সুবিধা দেওয়া।