রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভুয়া মেজরের ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া মেজরের ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

রাজধানীতে অভিনব কায়দায় এক ভুয়া মেজর ১৪ বছরের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরীর বাবার করা মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মেজর পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম মাহবুব আলম ওরফে রেজা ওরফে আপন চৌধুরী (৪২)। গতকাল তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করার পর পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। মামলাসূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস করে। কিশোরীও পুরান ঢাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দুই মাস আগে কিশোরীর ১৭ বছর বয়সী সহোদর ভাইয়ের খোঁজে তার বাসায় আসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে কিশোরীর বাবা কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন তার ছেলের নামে কোনো মামলা নেই। বাসায় পুলিশ আসার পর বিষয়টি তিনি তার পরিচিত সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে জানান। সোহাগ পরে কিশোরীর বাবাকে বলেন, তার পরিচিত সেনাবাহিনীর একজন অফিসার আছেন। এজাহারসূত্রে জানা গেছে, সোহাগের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে ওই ভুয়া মেজরের কাছে সাহায্য চান কিশোরীর বাবা। পরে মাহবুব পুরান ঢাকায় কিশোরীদের বাসায় আসেন এবং অভিযোগকারীর ছেলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর কয়েক দিন পর মাহবুব বাদীর কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর বিয়ে না দিলে কিশোরীর ভাইয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে হুমকিও দেন। ভয়ে কিশোরীর বাবা মাহবুবের প্রস্তাবে রাজি হন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন মাহবুব। লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে ঘরে তুলে নেবেন না বলেও আশ্বস্ত করেন মাহবুব। পরে গত এপ্রিলে বাদীর কিশোরী মেয়ের সঙ্গে আসামি মাহবুবেব বিয়ে হয়। এরপর আসামি মাহবুব বাদীর বাড়িতেই বসবাস শুরু করেন। বাদী যৌতুক হিসেবে জামাইকে ৮ লাখ টাকাও দেন। ২০ মে বাদীর কাছে আরও ৫ লাখ টাকা চান মাহবুব। তখন বাদীর মনে সন্দেহ হয়, মাহবুব কি আসলেই মেজর? বাদী তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মাহবুব মেজর নন। তিনি একজন প্রতারক। গত শুক্রবার ভোররাত সোয়া ৪টার দিকে কিশোরীকে নিয়ে বাদীর বাসা থেকে পালানোর সময় র‌্যাব-৩-এর একটি দল মাহবুব ও তার গাড়িচালক খোকনকে গ্রেফতার করে। মাহবুবের কাছ থেকে ভুয়া পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

সর্বশেষ খবর