মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

টিকিটের জন্য রাতভর অপেক্ষা দীর্ঘ সিরিয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদযাত্রায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ১৩ জুনের ট্রেনের আগাম টিকিট দেওয়া হয় গতকাল। কিন্তু বিক্রি শুরুর কিছু সময় পরই কাউন্টার থেকে জানানো হয় এসি কেবিনের টিকিট শেষ।

সকাল ৮টায় ২৬টি কাউন্টারে ১৩ জুনের টিকিট একযোগে বিক্রি শুরু হয়। কাউন্টারের জানালা খুলতেই হুল্লোড় দিয়ে ওঠেন উপস্থিত সবাই। এদিন প্রতি কাউন্টারেই ছিল টিকিটপ্রত্যাশীর উপচে পড়া ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও দিনাজপুরের টিকিট কাউন্টারগুলোয়। অগ্রিম বিক্রির বিগত দিনগুলোয় তেমন ভিড় না থাকলেও গতকাল চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকিটের কাউন্টারেও ছিল অনেক লম্বা সারি। আজ বিক্রি হবে ১৪ জুনের টিকিট। এদিনের টিকিটপ্রত্যাশীর সারিও দেখা গেছে গতকালই। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের প্রত্যাশায় সারা রাত না ঘুমিয়ে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করেছেন অনেকে। সকালে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যারা প্রত্যাশিত টিকিট পেয়েছেন, তাদের আনন্দ ধরে রাখার ছিল না। গত তিন দিনের মতো এদিনও ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। দিন যতই যাচ্ছে কমলাপুরে বাড়ছে রেলের আগাম টিকিটের চাপ। ঈদের সম্ভাব্য দুই দিন আগে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আগের দিনগুলোর তুলনায় টিকিটপ্রত্যাশীর সারি ছিল বেশি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর হাতে যখন সেই সোনার হরিণ, আনন্দ তখন বাঁধভাঙা। টিকিটপ্রাপ্তরা জানান, টিকিট পাওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে পারব। অনেক আনন্দ লাগছে। তবে এসির জন্য সারা রাত বসে থাকার পরও তা না পাওয়ারও অভিযোগ করেন তারা।  সাহরির সময় থেকেই টিকিটপ্রত্যাশীর দীর্ঘ সারি কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাইরের অংশের দিকে গিয়ে ঠেকে। এদের কেউ কেউ অপেক্ষা করতে থাকেন রবিবার দুপুর থেকে। কেউ বা সাহরির সময় এসে লাইনে যুক্ত হন। সকাল হতে না হতেই তিল না ধরা ভিড়ে পরিণত। এ পরিস্থিতি দেখে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন কিছু মানুষ। এ সুযোগে কেউ কেউ টিকিটের বদলে বিক্রি করেছেন সামনের দিকের সিরিয়াল। কাউন্টারের সামনে লোকারণ্যে বেশ আগ্রহে বিক্রি হয় সিরিয়াল। বিশেষ করে যেসব রুটের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেসব কাউন্টারে। দ্রুতযান এক্সপ্রেসের ইমরান নামে একজন জানান, সারিতে থাকাবস্থায় কয়েকজন ৫০০ টাকার বিনিময়ে সামনের দিকে সিরিয়াল দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সম্পদ সীমিত। এর মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সকাল থেকেই কাউন্টারগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। যেসব টিকিটের চাহিদা বেশি সেগুলো খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর