শিরোনাম
রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
চীনের পথে পথে - ১

অপার উন্নয়নের বিস্ময় বেইজিং

জিন্নাতুন নূর, বেইজিং (চীন) থেকে

চীনের রাজধানী বেইজিং শহরটি আয়তনের দিক দিয়ে যেমন বিশাল তেমনই এই শহরের আছে চোখ ধাঁধানো বিশাল সব স্থাপনা। বড় বড় ফ্লাইওভার ও ব্রিজ একদিকে যেমন বেইজিংবাসীকে স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছে, অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোও চলছে শহরটির বুকে। তবে ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই শহরে সব কিছুই হচ্ছে নিয়মমাফিক। আর এর পেছনে বেইজিংবাসীর সচেতন দায়িত্ববোধ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এ জন্য যানজটেও লাইন মেনে সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালান তারা। আবার যেসব নাগরিক গন্তব্যে যেতে অ্যাপসের মাধ্যমে সাইকেলসহ ইলেকট্রিক বাইক চালাচ্ছেন তারাও ব্যবহার শেষে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে যাচ্ছেন বাহন। ধূলিদূষণের কারণে এক সময় বেইজিংয়ের আকাশ ঘোলাটে থাকলেও পরিকল্পিত শহরায়নে রূপ বদলেছে বেইজিংয়ের। চারপাশে লাগানো প্রচুর গাছগাছালি আর লাল নীল বৃক্ষরাজি দেখে যে কারও মনে হতে পারে এ বুঝি ইউরোপের পথঘাট। কিছু পুরনো দালানকোঠা বাদে শহরজুড়ে বানানো হয়েছে কাচের বহুতল দালান। মোড়ে মোড়ে আছে ইলেকট্রিক বাসের জন্য আধুনিক যাত্রী ছাউনি। সুপ্রাচীন রাজপ্রাসাদ ‘ফরবিডেন সিটি’, ‘সামার প্যালেস’, ‘টেম্পল অব হ্যাভেন’-এর পাশাপাশি বেইজিংয়ে এই আধুনিক যুগে যুক্ত হয়েছে পাখির নীড় স্টেডিয়াম (বার্ড নেস্ট), ন্যাশনাল গ্র্যান্ড থিয়েটার, সিসিটিভি টাওয়ার।

এ ছাড়া পুরনো আমলের কলোনিগুলো ভেঙে সব অত্যাধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে উঠেছে নগরজুড়ে। যদিও প্রাচীন দর্শনীয় স্থাপনাগুলো রক্ষা করা হয়েছে যত্নের সঙ্গে। আধুনিক এই নগরীর মানুষগুলো বেশভূষাতেও বেশ স্মার্ট। হালের ট্রেন্ডি ফ্যাশনেবল পোশাক পরেই বেইজিংয়ের নারী-পুরুষদের সড়কে হেঁটে যেতে দেখা যায়। বেইজিংয়ে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নগরীর স্থাপনাগুলোর নামও ইংরেজিতে লেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে উন্নয়নের অপার বিস্ময় বেইজিং।

সর্বশেষ খবর