ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতিকে (বাবুল চিশতি) জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছে হাই কোর্ট। শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ৬ জুন হাই কোর্ট এ রুল জারি করে। ২৯ মে বাবুল চিশতির জামিন আবেদনের ওপর শুনানির পর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিনের আবেদন নাকচ করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। ১০ এপ্রিল বাবুল চিশতিকে দুদক গ্রেফতার করে। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতি ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতি তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। ৩ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক।
