শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হালদা নদী রক্ষায় দুই সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হালদা নদী রক্ষায় দুই সিদ্ধান্ত

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মত্স্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় অনন্যা আবাসিক এলাকার পরিকল্পনায় পরিবর্তন ও বামনশাহী খাল পুনঃখননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম       উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গতকাল দুপুরে হালদা নদীর দূষণ বন্ধে গঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্যরা অনন্যা আবাসিক এলাকা ও বামনশাহী খাল পরিদর্শন করেন। তবে এ কমিটি আবারও হালদা নদীসহ এসব স্থান পরিদর্শন করবে বলে জানা যায়। কমিটির চেয়ারম্যান সিডিএর বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিদ দাস, হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির মুখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া, শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকি, বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক, ইঞ্জিনিয়ার আবু ইসা আনসারি। হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা নদী দূষণ বন্ধে সিডিএকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ হিসেবে গতকাল অনন্যা আবাসিকসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করি। আশা করি এবার অনন্যা আবাসিককেন্দ্রিক সমস্যা নিরসন হবে।’ কমিটির সদস্যসচিব প্রকৌশলী রাজিদ দাস বলেন, ‘আমরা প্রথম বৈঠক করে অনন্যা আবাসিক ও বামনশাহী খাল পরিদর্শন করি। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো— এই আবাসিকের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন ও বামনশাহী খাল পুনঃখনন করা। ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের অধীনে খালটি পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। ফলে খালটি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তা ছাড়া হালদা নদী দূষণ বন্ধে অক্সিজেন-বায়েজিদ এলাকার শিল্পবর্জ্য পড়া বন্ধ করতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে ইটিপির ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হালদা রক্ষায় আমরা স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘ— তিন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ করব। এর মধ্যে রয়েছে আশপাশের খাল দূষণমুক্ত, অবৈধ দখল উদ্ধার, শিল্পকারখানায় স্থায়ী ইটিপি নিশ্চিত করা। আগামী সপ্তাহে আবারও আমরা পরিদর্শনে যাব। এর পরই একটা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করব।’ প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই হালদা নদী রক্ষা কমিটি সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর ‘হালদা নদীর দূষণ বন্ধের স্বার্থে অনন্যা আবাসিক এলাকার পরিকল্পনায় পরিবর্তন, এসটিপি স্থাপন ও বামনশাহী খাল পুনঃখনন’ শীর্ষক একটি চিঠি দেয়। এরপর সিডিএ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রথমবারের মতো এসব এলাকা পরিদর্শন করে।

সর্বশেষ খবর