বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফ্ল্যাট থেকে দুই মডেলের পচন ধরা লাশ উদ্ধার

প্রতিদিন ডেস্ক

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে দুই মডেলের পচন ধরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীতে নূপুর ইসলাম (৩৪) নামে এক মডেলের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১২টার দিকে মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাটের একটি ৫ তলা বাড়ির নিচ তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। নূপুর শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলার রামরায়কান্দী গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। ঢামেক সূত্র জানায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ওই মডেলের তালাক হওয়ার পর থেকে গুদারাঘাট এলাকার ওই বাড়ির নিচতলায় একাই থাকতেন। গতকাল তার বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দরজার লক খুলে বাথরুমের সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার রুমে কয়েকটি বিদেশি মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ভাই শিশির অভিযোগ করে জানান, এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নূপুর বিউটিশিয়ান ছিল, পরে তিনি ইউটিউবে নাটক ও গানে মডেল হিসেবে কাজ করতেন। তার স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর বাদল নামে ইতালি প্রবাসীর সঙ্গে মোবাইলফোনে বিয়ে হয়েছিল। বর্তমান স্বামীর সঙ্গে তার বোনের বিরোধ চলছিল, সে তাকে হুমকিও দিয়েছিল। এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মাহমুদা আক্তার (২৮) নামে এক মডেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে কে তাকে হত্যা করেছে সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহতের পরিবারের ধারণা হয়তো স্বামীই মাহমুদাকে হত্যা করে পালিয়েছে। নিহত মাহমুদা আক্তার শহরের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার আক্কাস আলীর মেয়ে। মাহমুদার মা সুফিয়া বেগম জানান, মাহমুদার আগে একটি বিয়ে হয়। বছরখানেক আগে স্বামী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। মাহমুদার আগের সংসারে রিয়ানা রহমান জারা নামের ৪ বছরের এক মেয়ে সন্তান আছে। দুই মাস আগে মাহমুদা জানান বাপ্পী নামের একজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তখন থেকেই সে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে গোগনগরে চলে যায়। আর রিয়া নানা ও নানীর কাছে থেকে যায়। মাহমুদা জানাতো সে ঢাকাতে কাজ করে। কিন্তু কি কাজ করে সেটা জানায়নি। মডেল বা টপটেনে চাকরির খবরটিও সে জানে না। সুফিয়া বেগম আরও জানান, গত বুধবার মোবাইলে সবশেষ কথা হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। আমার নাতনি জারা শুধু তার মাকে খুঁজছে আর কাঁদছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদা আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত ‘টপটেন’ নামক তৈরি পোশাক বিক্রির চেইন শপের বিক্রয় কর্মকর্তা ছিলেন।

তবে বছরখানেক আগে তিনি ওই চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বেশকিছু মডেলিংয়ে কাজ করেন। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গোগনগর আলামিন নগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের তিন তলার ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাট থেকে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। গত ৩ জুন স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে পরিবারটি বাসা ভাড়া নেয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। সোমবার রাতে ওই বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে ভাড়াটিয়ারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ওই বাসার মেঝে থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর