অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ সাত ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা পৃথক চিঠিতে তাদের তলব করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, মোসাদ্দেক আলী ফালুকে ১৪ আগস্ট সকাল ১০টায় দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই দিন আরএকে পেইন্টস ও আশালয় হাউজিংয়ের পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান, তার ছেলে আরএকে পেইন্টস ও আরএকে কনজুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক কামার উজ জামান, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেড ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামানকে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ১৩ আগস্ট সকালে হাজির হতে বলা হয়েছে আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল করিম, আরএকে সিরামিকসের স্বতন্ত্র পরিচালক ফাহিমুল হক এবং স্টার সিরামিকসের পরিচালক প্রতিমা সরকারকে।
এর আগে একই অভিযোগ অনুসন্ধানে চার ব্যবসায়ীকে ১২ আগস্ট হাজির হতে চিঠি দেয় দুদক। তলবকৃতরা হলেন আরএকে কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসাইন, পরিচালক এম এ মালেক, রোজা প্রোপার্টিজ লিমেটেডের মো. আসফাক উদ্দিন আহমেদ এবং আরএকে পেইন্টস লিমিটেডের পরিচালক সাইলিন জামান আক্তার। এর আগে গত ৩ আগস্ট এ অভিযোগে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু ও তলবকৃত ব্যবসায়ীসহ ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, তথ্য গোপন ও জালিয়াতিপূর্বক অবৈধ উপায়ে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তারা বিদেশে অফশোর কোম্পানি খুলে মানি লন্ডারিং ও হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন। এ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন— এমন তথ্য থাকায় তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের টিম এই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।