মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকার হটানোর চক্রান্ত করেছিল বিএনপি জামায়াত : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ছাত্র আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সরকার হটানোর চক্রান্ত করেছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য এবং বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ফোনালাপের মাধ্যমে এটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। এখন সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে এটি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত বা কারও মৃত্যু হলে চালককে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। তবে তদন্তে যদি দেখা যায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাহলে দণ্ডবিধি ৩০২ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। তবে এটা তদন্ত সাপেক্ষে এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারা নির্ধারণ করবে। এসব বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে চালকের ভুলের জন্য ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে এসব পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট এভাবে শূন্য হয়ে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

 ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি করার জন্য দীর্ঘদিন আমরা আলোচনা করেছি। এখন সেটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, শিক্ষকদের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এ মুহূর্তে কোনো আন্দোলনকারী রাস্তায় নেই। এ সময় একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, গত রবিবারের আন্দোলন ছাত্র-ছাত্রীদের ছিল না। সারা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ঢাকায় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি না সাধারণ শিক্ষার্থীরা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করেনি। বিএনপি-জামায়াত তাদের নোংরা রাজনীতির মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এটি তাদের পুরনো কৌশল। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা একের পর এক নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না।

সর্বশেষ খবর