ভোলার চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ারে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই রয়েছে। এ ছাড়াও শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, ফ্যাশন স্কয়ার দ্বীপ কুকরি-মুকরিসহ অন্যান্য পর্যটন স্থানগুলোতেও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে।

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ছিল নিপুণ নির্মাণ শৈলীর অপরূপ সৌন্দর্যের স্থাপনা জ্যাকব টাওয়ার। কারণ জ্যাকব টাওয়ারের নির্মাণ শৈলীতে রয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করে দিয়েছে এই টাওয়ার। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ একর জমিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দৃষ্টিনন্দন এই টাওয়ার। সম্পূর্ণ ইস্পাত দিয়ে নির্মিত ১৮তলা সু-উচ্চ এই টাওয়ারটি আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। টাওয়ারের চূড়ায় ওঠানামার জন্য আছে সিঁড়িসহ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিজাইন করে আনা ১৩ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক ক্যাপসুল লিফট। টাওয়ারটিতে সংযুক্ত আছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাইনোকুলার, যার সাহায্যে দর্শনার্থীরা টাওয়ার চূড়ায় দাঁড়িয়ে বঙ্গোপসাগরসহ চারদিকে একশ কিলোমিটার বিস্তৃত বালিদ্বীপ পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। এ ছাড়াও ঈদে দর্শনার্থীদের আকর্ষণে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের কোলজুড়ে অবস্থিত কুকরি-মুকরি, ঢালচর, তারুয়া, মেম্বারের চর, নারিকেল বাগান। কুকরী বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল স্বপ্নিল লেক, বালুকাময় সমুদ্র তীর, সমুদ্র সৈকত, সামুদ্রিক নির্মল হাওয়া, সাগরের গর্জন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।