রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

চামড়া পাচারের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির পশু থেকে সংগৃহীত কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। এতে করে চামড়া পাচারের আশঙ্কা বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। এ জন্য পাচার রোধে আগামী এক মাস সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিটিএ। গতকাল নগরীর ধানমন্ডিতে বিটিএ কার্যালয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার চলমান সংকট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর সভাপতি শাহিন আহমেদ এই দাবি জানান। শাহিন আহমেদ বলেন, চামড়া শিল্পে ক্রান্তিকাল চলছে। বেশিরভাগ ট্যানারি উৎপাদনে নেই। গত বছরের ৪০-৪৫ শতাংশ চামড়া এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। চামড়া শিল্পের এমন দশার নেপথ্যে রয়েছে সরকারি সহায়তা না থাকা আর পুঁজির সংকট। বিটিএ সভাপতি আরও বলেন, সাভারে পরিকল্পিত ট্যানারি শিল্প গড়ে না ওঠার দায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। ভুল তথ্য দিয়ে ট্যানারি মালিকদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত সাভারের ওই চামড়া শিল্প নগরীতে মাত্র ৯৫টি ইউনিট উৎপাদনে যেতে পেরেছে।

তবে দর পতনের এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএ সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাজাকাত হারুন, সহসভাপতি ইলিয়াসুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শাহীন আহমেদ আরও বলেন, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় যে খবর প্রচার করা হচ্ছে এটি আসলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পাড়া-মহল্লার লোকজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নামে  জোরপূর্বক কম দামে চামড়া কেনার দায় ট্যানারিগুলো নেবে না। ট্যানারির মালিকরা নির্ধারিত মূল্যে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে। তবে কেউ যদি চামড়ায় সঠিকভাবে লবণ না মেশায় তাহলে সেই চামড়ার দাম পাবে না। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্যানারি মালিকরা তা সংগ্রহ করবে।

তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকরা পুঁজির সংকটে রয়েছে। এবার মাত্র ৪২ ট্যানারিকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। বাকিরা বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় ঋণ পায়নি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর