মাগুরা সদর উপজেলার রাউতড়া গ্রামের ইটভাটা এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাতে বন্দুকযুদ্ধে শিবাদুল ইসলাম শিবা (৪৫) ও কামাল হোসেন (৩৫) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুকের গুলি ও রামদা।
লুটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে প্রতিপক্ষের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
নিহত শিবাদুল ইসলাম শিবা মাগুরা সদর উপজেলার ভাবনহাটি গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। তার নামে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও সহিংসতার ৮টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে কামাল যশোরের নরসিংহপুর গ্রামের নুরুন্নবী মোল্লার ছেলে। তার নামে ডাকাতির ৫টি মামলা রয়েছে।মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, রাত ৩টার দিকে লুটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মাগুরা সদরের রাউতড়া ইটভাটা এলাকায় দুই দল ডাকাতের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে শিবাদুল ইসলাম শিবা ও কামাল হোসেন নামে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। মাগুরা সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ওই দুজনকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসা ও ৪টি রামদা উদ্ধার করেছে। শিবার নামে মহম্মদপুরসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও সহিংসতার ৮টি মামলা ও কামালের নামে ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
চুয়াডাঙ্গায় চরমপন্থির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার : এদিকে দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মাঠ থেকে বারি হক (৪৩) নামের এক চরমপন্থির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত বারি হকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন আছে। দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, দামুড়হুদা উপজেলার করিমপুর গ্রামের পচা শেখের ছেলে নিহত বারি হক স্থানীয় একটি চরমপন্থি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক অবস্থায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে— ঈদের কারণে তিনি এলাকায় এলে তার প্রতিপক্ষ তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।