গ্রীষ্মকালে শিম চাষ করে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার খোয়াশপুর গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন। ফুল ও ফসলে ভয়ে উঠেছে তার জমির শিমের মাচা। আর অসময়ে তার এই শিম চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকরাও। অনেক কৃষক এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে শিম চাষের। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করে সিকৃবি ১ ও ২ শিমের ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করা হয়; যা গ্রীষ্মকালে চাষ করা যায়। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় এই প্রথমবার ১৩টি প্লটে ১০ জন কৃষককে দিয়ে সিকৃবি ১ ও ২ শিমের প্রদর্শনী প্লট করা হয়। প্রথম বছরে সফলতা পাওয়া যায়। সালাউদ্দিন জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি এবার এক শতক জমিতে সিকৃবি ১ ও ২ শিম লাগিয়েছিলেন। মে মাসে চারা রোপণ করেছিলেন। ৫০ দিন পর গাছে ফুল এসেছে। জুলাই থেকে শিম সংগ্রহ করছেন। এই এক শতক জমি থেকে প্রথম ধাপে উৎপাদিত ৭০ কেজি শিম বাজারে বিক্রি করেছেন। এতে তার ৭ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এখন আবার দ্বিতীয়বার গাছে ফুল এসেছে। এভাবে একটানা মার্চ পর্যন্ত গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করা যাবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, ‘এটা হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন শিম। সাধারণত সিজনে শিম চাষ করে কৃষক ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করেন। আর অসময়ে শিম চাষ করে তারা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে কৃষকের দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে। আগামী বছর এ উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ বৃদ্ধি পাবে।’